গুইমারায় ইউপি সদস্যের অনিয়ম ও দূর্নীতির প্রতিবাদ করায় মেরে রক্তাক্ত করার অভিযোগে

fec-image

খাগড়াছড়ি জেলার গুইমারা ইউপি সদস্যের অনিয়মের প্রতিবাদ করায় ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও সমাজ সর্দারকে প্রকাশ্যে সড়কের উপর হামলা ও মেরে রক্তাক্ত করার অভিযোগে ইউপি সদস্য ও বিএনপি সংগঠনের উপজেলা যুবদলের সাধারণ সস্পাদক আরমান হোসেন এবং তার চাচা উপজেলা বিএনপির সাধারণ সস্পাদক নবী হোসেনসহ চার জনের নামে থানায় মামলা দায়ের করেছেন আহত ইকবাল তারাশি।

মামলার সূত্রে জানাযায়, গত ১৪ জুলাই উপজেলাধীন হাফছড়ির কালাপানি মসজিদের সামনে আশ্রয়ন প্রকল্পের সরকারি ঘর প্রদানে, অনিয়ম ও টাকার বিনিময় সচ্ছলদের ঘর প্রদানের বিরুদ্ধে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ করেন এলাকাবাসি। মানববন্ধনে হাফছড়ি ২নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও কালাপানি সমাজ সর্দার ইকবাল ঘর প্রদানে দূর্নীতি ও অনিয়মের বিষয় ক্ষতিয়ে তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছিলেন। এরপর গত ১৪ আগস্ট সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে জালিয়াপাড়া কেন্দ্রীয় মসজিদের সামনে একা পেয়ে ইউপি সদস্য আরমান তার চাচা নবী হোসেন, শশুর ইব্রাহিমসহ ৪ জন মিলে তাকে রাস্তায় চাপাতি দিয়ে কোপ দেয় এবং বেদড়ক মেরে রক্তাক্ত করে। পরে তার চিৎকারে পাশ্ববর্তীরা এগিয়ে এসে তাকে মানিকছড়ি হাসপাতালে নিয়ে যায়।

অভিযোগকারী ইকবাল জানান, আরমানের নামে তার এলাকার লোকজন আশ্রয়ন প্রকল্পের সরকারি ঘর প্রদানে অনিয়ম ও টাকার বিনিময় সচ্ছলদের ঘর প্রদান, প্রতিবন্ধিদের ভাতা কার্ডকরনসহ বিভিন্ন ভাতাভোগীদের কাছ থেকে টাকা আদায় করার মৌখিক অভিযোগ করে।

এবিষয় নিয়ে এলাকাবাসীর সাথে তিনি মানববন্ধনে অংশ গ্রহণ করে বিচার দাবি করেন। এ অপরাধে ইউপি সদস্য আরমান তার চাচাসহ চারজন মিলে তাকে মেরে পেলার লক্ষে এ আক্রমন করে। তিনি এ ঘটনায় গুইমারা থানায় মামলা করেছেন।

এদিকে ইউপি সদস্য আরমানের দুর্নীতির এসব খবর ছড়িয়ে পড়ায় উপজেলার জালিয়াপাড়ায় সাধারণ মানুষের মাঝে ক্ষোভ বিরাজ করছে। স্থানীয়রা দুর্নীতিবাজ ইউপি সদস্য আরমানের অপসারণ সহ বিচার দাবি করছেন।

এবিষয়ে গুইমারা থানার ওসি মিজানুর রহমান জানান, ইকবালের মামলার আলোকে তদন্ত করা হচ্ছ। আসামীদের আটকের জন্য পুলিশ চেষ্টা করছে।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন