চোরের তাণ্ডব বন্ধ না হলে সাধারণ মানুষের মহিষ পালন করা কঠিন হয়ে পড়বে

চকরিয়ায় উপকূলীয় চিংড়িঘের থেকে চুরি হওয়া ১৬টি মহিষ ৪০ ঘণ্টা পর উদ্ধার

fec-image

কক্সবাজারের চকরিয়ায় উপজেলার উপকূলীয় বদরখালী ইউনিয়নের নোয়াঘোনা চিংড়ি ঘের এলাকা থেকে চুরি হওয়া ১৬টি মহিষ ৪০ ঘণ্টা পর রবিবার সকালে মহেশখালীর কেরানীঘোনা থেকে উদ্ধার করা হয়েছে।

গত শুক্রবার জুমার নামাজের সময় মহিষের মালিকের অনুপস্থিতির সুযোগে নোয়াঘোনা চিংড়ি ঘের এলাকা থেকে চোরের দল মহিষ গুলো চুরি করে নিয়ে যায়।

জানা গেছে, উপকূলীয় বদরখালী ইউনিয়নের ছনুয়াপাড়া এলাকার আবদুর রউফের পালিত ১৬টি মহিষের একটি পাল নোয়াঘোনা চিংড়ি ঘেরের এলাকা শুক্রবার দুপুরের দিকে চুরি করে নিয়ে যায় চোরের দল। মহিষের মালিক ও তার বাড়ির সদস্যরা ওইদিন বিকালের দিকে চিংড়ি ঘের এলাকায় মহিষের পাল না দেখা খোঁজাখুঁজি শুরু করেন। মহিষের কোন ধরণের খোঁজ না পেয়ে মালিকের লোকজন চকরিয়া ও মহেশখালী উপজেলার বিভিন্ন চিংড়ি ঘের এলাকায় এবং বিভিন্ন পাড়া-মহল্লায় খোঁজতে থাকে। মহিষ চুরির প্রায় ৪০ ঘন্টা পরে রোববার সকালের দিকে মহেশখালী উপজেলার আলোচিত কেরানী ঘোনা এলাকা থেকে বিচরণরত অবস্থায় ১৬ টি মহিষ মালিক পক্ষের লোকজন উদ্ধার করে নিয়ে আসে।

ভুক্তভোগী মহিষের মালিক আবদুর রউফ জানান, উদ্ধারকৃত তার পালিত ১৬টি মহিষের মধ্যে ৮টি বাচ্চা দেয়ার সময় হয়েছে। এমন সময়ে মহিষগুলো চোরের কবলে পড়ায় চরমভাবে হতাশ হয়ে পড়েছিলাম। বর্তমান মহিষ গুলোর আনুমানিক বাজার মূল্য ২৪ থেকে ২৫ লাখ টাকা। মহিষ খোঁজাখুঁজিতে ব্যস্ত থাকার কারণে থানায় অভিযোগও করার সময় পর্যন্ত পায়নি।

তিনি আরো দাবি করেন, চকরিয়ার উপকূল এলাকায় এক সময় হাজার হাজার মহিষ লালন পালন করলেও চোর ডাকাতের কারণে মহিষ পালন এখন হ্রাস পেয়েছে। চোরের তান্ডব বন্ধ না হলে সাধারণ মানুষের মহিষ পালন করা কঠিন হয়ে পড়বে বলে তিনি জানান।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন