চামড়ার দাম নিয়ে সিন্ডিকেটের খেলা

fec-image

চামড়ার দাম নিয়ে আগের মতই সিন্ডিকেটের অভিযোগ। সাভারের আড়তে ৫০ টাকায় বিক্রির রেকর্ড। মৌসুমি ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, দাম নিয়ে চলছে অন্তরালের খেলা। পোস্তার আড়তদাররা বলছেন, ভবিষ্যতে সরকারের উচিত ব্যবসায়ীদের সঙ্গে পরামর্শ করে দাম নির্ধারণ করা।

সরকারি নির্দেশনা উপেক্ষা করে ১১ লাখ টাকা লগ্নি করে ১০ ট্রাক লবণ ছাড়া কাঁচা চামড়া নিয়ে সাভারের চামড়া শিল্পনগরীতে এসেছেন সিলেটের মৌসুমি ব্যবসায়ী জামিল হোসেন। প্রতি পিস ৩০০-৩৫০ টাকা দরে কিনলেও বাধ্য হয়ে ১০০-২০০ টাকায় ছেড়ে দিচ্ছেন।

শুধু জামিল নয়: একই পরিস্থিতিতে পড়েন বাহ্মণবাড়িয়া থেকে আসা আরেক ব্যবসায়ী আইনউদ্দিন। এক ট্রাক চামড়া বিক্রি করেছেন মাত্র ৫০ টাকা পিস দরে। মূলত তীব্র রোদ আর গরমে পচন ধরতে শুরু করেছে কোরবানির পশুর চামড়ায়। তাই ফেলে দেয়া হয়েছে আড়তের পাশেই।

মৌসুমি ব্যবসায়ীরা বলছেন, বাড়ি বাড়ি ঘুরে সংগ্রহ করে চামড়ার ন্যায্যদাম মিলছে না। সিন্ডিকেটের কারণে পড়ে গেছে চামড়ার দাম। দাম নিয়ে চলছে অন্তরালের খেলা।

এদিকে, চামড়া আসছে পুরান ঢাকার পোস্তার আড়তগুলোতে। এখানে আকার ভেদে প্রতি পিস গরুর চামড়া কেনা হচ্ছে ৫০০ থেকে ৮৫০ টাকায়। চামড়া সংগ্রহে অনভিজ্ঞতা ও সময়মতো লবণ না দেয়ায় নষ্ট হচ্ছে বলে অভিমত আড়তদারদের।

তারা বলেন, মৌসুমি ব্যবসায়ীরা এলাকা এলাকা ঘুরে চামড়া সংগ্রহ করে তারপর আড়তে নিয়ে আসে। এসে সময়ক্ষেপণ হওয়ায় ও লবণ না দেয়ার চামড়ার মান নষ্ট হয়ে যায়। ফলে কমে যায় দামও।

আড়তদার ও বাংলাদেশ হাইড অ্যান্ড স্কিন মার্চেন্টেস অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মো. টিপু সুলতান বলেন, এবার কোরবানি কম হওয়ায় চামড়া সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হবে না। ভবিষ্যতে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে আলোচনা করে মূল্য নির্ধারণ করতে হবে।

উল্লেখ্য, গত ২৫ মে পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে কোরবানির পশুর চামড়ার নতুন দাম নির্ধারণ করে সরকার। গত বছরের তুলনায় এবার গরুর চামড়ার দাম প্রতি বর্গফুটে বাড়ানো হয়েছে ৫ টাকা। আর খাসি ও বকরির চামড়ার দাম বাড়ানো হয়েছে ২ টাকা করে।

ঢাকায় প্রতি বর্গফুট লবণযুক্ত গরুর চামড়ার দাম ৬০ থেকে ৬৫ টাকা এবং ঢাকার বাইরে ৫৫ থেকে ৬০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। ঢাকায় সর্বনিম্ন কাঁচা চামড়ার দাম ১ হাজার ৩৫০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। আর ঢাকার বাইরে সর্বনিম্ন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ১ হাজার ১৫০ টাকা।

এ ছাড়া খাসির চামড়ার ক্রয়মূল্য প্রতি বর্গফুট ২২ থেকে ২৭ টাকা এবং বকরির চামড়ার দাম ২০ থেকে ২২ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন