জেএসএস ও ইউপিডিএফের প্রতিবেদনে মিথ্যাচার


খাগড়াছড়ি ও গুইমারায় সহিংসতা নিয়ে জেএসএস (মূল) ও ইউপিডিএফ (মূল) গ্রুপের প্রতিবেদনে মিথ্যা ও বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়ানোর অভিযোগ উঠেছে। পার্বত্যাঞ্চলের বিচ্ছিন্নতাবাদী এই দুটি সশস্ত্র গ্রুপ খাগড়াছড়ি ও গুইমারা সহিংসতায় নিজেদের অপরাধ আড়াল করতে মিথ্যা ও বিভ্রান্তিকর তথ্যের একপাক্ষিক এই প্রতিবেদন বিভিন্ন ফোরামে ছড়িয়ে দিচ্ছে। এমনকি একাধিক ভাষায় অনুবাদ করে আন্তর্জাতিক বিভিন্ন ফোরামে পাঠিয়ে সহানুভূতি আদায়ের চেষ্টা হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
২৩ সেপ্টেম্বর ধর্ষণের অভিযোগ এবং অজ্ঞাত ৩ জনকে আসামী করার বিষয়টি তারা ভিন্নভাবে উপস্থাপন করেছে। অজ্ঞাত আসামীরা পাহাড়ি নাকি বাঙালি এ বিষয়ে ওই কিশোরী কিছুই যে বলতে পারছে না- তা প্রতিবেদনের কোথাও উল্লেখ করা হয়নি। এই সংগঠন দুটি উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে অজ্ঞাত আসামীদের ‘বাঙালি’ উল্লেখ করে ধর্ষণ অভিযোগ মামলার এফআইআর-এর তথ্য-বিকৃতি ঘটাচ্ছে। তাছাড়া মেয়েটির শরীরের চিকিৎসকরা ধর্ষণের আলামত পায়নি, সে বিষয়টিও প্রতিবেদনে উল্লেখ করেনি।
বাংলাদেশ সেনাবাহিনী কর্তৃক উক্যনু মারমা নামের এক যুবককে আটক করার সময় মারধর করা হয়েছে বলে মিথ্যা অভিযোগ তুলেছে। ২৪ থেকে ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫ জুম্ম ছাত্র জনতার র্কাযক্রমের কথা বলা হলেও বিক্ষোভের সময় তাদের ভাঙচুর, সহিংসতা এবং ২৬ সেপ্টেম্বর খাগড়াছড়ি সদর এলাকায় সেনাবাহিনীর গাড়ি, অ্যাম্বুলেন্স ভাঙচুর, ৩ জন সেনাসদস্যকে রক্তাক্ত করার বিষয়টিও প্রতিবেদনে তুলে ধরা হয়নি।
২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫ সেনাবাহিনীর টহল গুইমারার সড়ক অবরোধ সরাতে গেলে ইউপিডিএফ (মূল) এর সর্মথকরা সেনাবাহিনীর সদস্যদের উপর ইট পাটকেল ছুড়তে থাক। এতে ২ জন অফিসারসহ ১২ জন সেনা সদস্য আহত হন। ২৮ সেপ্টেম্বর ইউপিডিএফ (মূল) সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা পাহাড় থেকে সাধারণ জনগণের উপরে গুলি চালালেও প্রতিবেদনে এই সম্পর্কিত তথ্য নেই। তারা ঘটনার জন্য সেনাবাহিনী এবং বাঙালিদের দায়ী নিজেদের অপরাধ আড়াল করার চেষ্টা চালাচ্ছে।
প্রতিবেদনে ইউপিডিএফ (মূল) কোনো ধরনের কর্মসূচির সাথে সম্পৃক্ত ছিল না বলে দাবি করছে। কিন্তু বাস্তবিক অর্থে জুম্ম ছাত্র জনতার ব্যানারে ইউপডিএিফ সর্মথকরা বিভিন্ন কর্মসূচি পরিচালনা করে এবং সেনাবাহিনী ও বাঙালিদের সঙ্গে পাহাড়িদের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটায়।
বামপন্থী বিভিন্ন রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গ তাদের হীন স্বার্থ চরিতার্থের লক্ষ্যে এবং পাহাড়িদের নিকট হতে অবৈধ সুবিধা লাভের আশায় সব একপাক্ষিক বক্তব্য দিয়ে দিচ্ছে। তারা বিভিন্ন বক্তব্যে সংবধিান বিরোধী ‘আধিবাসী’ শব্দ ব্যবহার করছে।
বাংলাদেশ সেনাবাহিনী পাহাড়ি-বাঙালি সকল সম্প্রদায়ের কল্যাণে নিরলস পরিশ্রম করলেও জেএসএস (মূল) এবং ইউপিডিএফ (মূল) সেনাবাহিনী কেবল বাঙালিদের জন্য কাজ করছে বলে মিথ্যা প্রচার চালাচ্ছে। যাতে অপারশেন উত্তরণ বন্ধ করে ইউপিডিএফ, জেএসএস প্রকাশ্য চাঁদাবাজি, হত্যা, গুম, মাদক কারবার, অপহরণসহ আইন বহর্ভিূত পরচিালনা নির্বিঘ্নে চালাতে পারে।

















