টেকনাফে টানা বৃষ্টিপাতে অর্ধলাখ মানুষ পানিবন্দি

fec-image

প্রবল বর্ষণের কারণে কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলার নিম্নাঞ্চলের শতশত বাড়ি-ঘরসহ তলিয়ে গেছে ফসলি জমি-চিংড়ি ঘের।

বুধবার (১৯ জুন) রাত থেকে অতিবৃষ্টির কারণে টেকনাফ উপজেলায় হ্নীলা, হোয়াইক্যং, বাহারছড়া ইউনিয়নসহ পৌরসভার বিভিন্ন এলাকায় বাড়ি-ঘর পানিতে তলিয়ে গেছে। ফলে অর্ধলাখ মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে।

জানা যায়, অতিবৃষ্টির ফলে টেকনাফ উপজেলার হোয়াইক্যং ইউনিয়নের কানজর পাড়া, উলুবুনিয়া, উংচিপ্রাং, সাতঘড়িয়া পাড়া, হারাংখালী হ্নীলা ইউনিয়নের ছৈয়দ নুর পাড়া, সুলিশ পাড়া, পূর্ব সিকদার পাড়া, মৌলভী বাজার, ওয়াব্রাং, চৌধুরী পাড়া, রঙ্গিখালী লামার পাড়া, বাহারছড়া শামলাপুর ইউনিয়নের উত্তর শিলখালী, নতুন বাজার, পশ্চিম পাড়া, টেকনাফ পৌরসভার এলাকা বাড়ি-ঘর পানিতে তলিয়ে গেছে।

স্থানীয়রা বলেন, বুধবার গভীর রাত থেকে সকাল পর্যন্ত অতিবৃষ্টির ফলে টেকনাফ উপজেলায় শত শত বাড়ি-ঘর পানিতে তলিয়ে গেছে। বৃষ্টি না কমলে পানিবন্ধি হয়ে থাকবে অর্ধলাখ মানুষ। বর্ষার সময় বৃষ্টি পানি যেসব খাল বা ড্রেন দিয়ে পানি চলাচল করে সে খালগুলো ভরাট হয়ে যাওয়া ও বেড়িবাঁধে পর্যাপ্ত স্লুইস গেইট না থাকায় দ্রুত পানি নামতে না পেরে বাড়ি-ঘর তলিয়ে যায়।

হ্নীলা ওয়াব্রাং এলাকার মাদ্রাসার শিক্ষক কামাল আহমদ জানান, বেড়িবাঁধের স্লুইস গেট বন্ধ করে রাখায় প্রচুর বৃষ্টি হওয়ায় ওয়াব্রাং এলাকাসহ অনেক গ্রাম পানিবন্দি হয়ে যাচ্ছে। দ্রুত স্লুইস গেইটের পাশে পানি চলাচলের ব্যবস্থা না করলে কয়েকটি গ্রাম প্লাবিত হওয়ার সম্ভাবনা প্রবল। আরো বৃষ্টি হলে ওয়াব্রাং মৌলভীবাজার ফুলের ডেইল এলাকার মানুষ মৃত্যুর ঝুঁকির সম্ভাবনা রয়েছে।

হ্নীলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রাশেদ মাহমুদ আলী জানান, বেড়িবাঁধে স্লুইস গেটে উন্নয়নের কাজ চলার কারণে স্লুইস গেট বন্ধ ছিল। রাতে বেড়িবাঁধ গিয়ে স্লুইস গেটের পাশে বেড়িবাঁধ কেটে দেওয়া হয়েছে। বৃষ্টি কমে গেলে পানি নাফ নদীতে চলে যাবে।

টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. আদনান চৌধুরী বলেন, বুধবার গভীর রাত থেকে অতিবৃষ্টির ফলে টেকনাফ উপজেলা কয়েকটি ইউনিয়নে বাড়ি-ঘর পানিতে তলিয়ে গেছে। আমরা তাদের খোঁজ-খবর নিচ্ছি।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন