টেকনাফে বিজিবির সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে ২ রোহিঙ্গা নিহত
কক্সবাজারের টেকনাফে বিজিবির সঙ্গে ইয়াবা পাচারকারীদের গুলিবিনিময়ের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় দুই রোহিঙ্গা ইয়াবা পাচারকারী গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যুবরণ করেছে। ঘটনাস্থল থেকে ৫০ হাজার ইয়াবা, ১টি অগ্নেয়াস্ত্র ও কিরিচ উদ্ধার করেছে বিজিবি।
বৃহস্পতিবার (১৭ অক্টোবর) দিনগত গভীর রাত ১২ টার দিকে টেকনাফের হোয়াইক্যংয়ের লম্বাবিলস্থ নাফ নদীর কিনারায় এই ঘটনা ঘটে।
বিজিবি জানায়, টেকনাফের হোয়াইক্যং ইউনিয়নের লম্বাবিল এলাকার নাফ নদী দিয়ে মিয়ানমার হতে ইয়াবা পাচারের গোপন সংবাদ পেয়ে বিজিবির একটি বিশেষ টহলদল ওই স্থানে কৌশলগত অবস্থান গ্রহণ করে। এক পর্যায়ে ৪-৫ জন ইয়াবা পাচারকারী নৌকা যোগে নাফ নদী পেরিয়ে বাংলাদেশের জল সীমার কিনারায় পৌঁছলে বিজিবি জওয়ানরা তাদের চ্যালেঞ্জ করে। এ সময় দুই পাচারকারী পালিয়ে গেলে বিজিবি জওয়ানরা তাদের ধাওয়া করে এবং ওঁতপেতে থাকা ইয়াবা কারবারিরা অতর্কিতভাবে বিজিবির উপর এলোপাতাড়ি গুলি চালায়। এ সময় তিন জন বিজিবি সদস্য আহত হন। আত্মরক্ষার্থে বিজিবিও গুলি বর্ষণ করলে উভয় পক্ষের মধ্যে প্রায় ৮-১০ মিনিট গুলি বিনিময়ের ঘটনা ঘটে।
কিছুক্ষণ পর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এলে ঘটনাস্থল তল্লাশি চালিয়ে ২ জন ব্যাক্তিকে গুলিবিদ্ধ হয়ে পড়ে থাকতে দেখে বিজিবি সদস্যরা। তাদের উদ্ধার করে টেকনাফ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত ডাক্তার উন্নত চিকিৎসার জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালে প্রেরণ করে। সেখানে পৌঁছার পর ডাক্তার তাদের মৃত ঘোষণা করেন।
নিহতদের পকেটে থাকা পরিচয়পত্র মতে তারা উখিয়া উপজেলার কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্পের এ/৩ ব্লকের সুলতান আহমদের পুত্র মোঃ আবুল হাশেম (২৫) ও একই ক্যাম্পের সি/১ এর আবু ছিদ্দিকের পুত্র নুর কামাল (১৯) বলে চিহ্নিত করা হয়।
এছাড়া ঘটনাস্থল থেকে দেড় কোটি টাকা মুল্যমানের ৫০ হাজার পিস ইয়াবা, দেশীয় তৈরী ১টি বন্দুক, ৩ রাউন্ড তাজা কার্তুজ, ২ টি ধারালো কিরিচ উদ্ধার করতে সক্ষম হয় বিজিবি।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে টেকনাফ ২ বিজিবি অধিনায়ক লেঃ কর্নেল মোঃ ফয়সাল হাসান খান জানান, টেকনাফ সীমান্ত দিয়ে অসাধু মাদক পাচারকারী চক্র বেপরোয়া হওয়ার চেষ্টা করছে।
আহত বিজিবি সদস্যদের প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে ব্যাটালিয়নে বিশ্রামে রাখা হয়েছে।