দক্ষিণ এশিয়ায় ভারতীয় আধিপত্য পাকিস্তান কখনই মেনে নেবে না : ফিল্ড মার্শাল সৈয়দ অসিম

fec-image

দক্ষিণ এশিয়ায় ভারতের দাদাগিরি মানব না বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছে পাকিস্তান। দেশটির নতুন ফিল্ড মার্শাল সৈয়দ অসিম মুনির এ হুঁশিয়ারি দেন।

শুক্রবার (৩০ মে) পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম দ্য এক্সপ্রেস ট্রিবিউনের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

অসিম মুনির বলেন, দক্ষিণ এশীয় অঞ্চলে ভারতীয় আধিপত্য পাকিস্তান কখনই মেনে নেবে না। দুই দেশের মধ্যকার যুদ্ধবিরতির মধ্যে সার্বভৌমত্বের বিষয়ে তার দেশের অবস্থান পুনর্ব্যক্ত করে তিনি এ হুঁশিয়ারি দেন।

আইএসপিআর জানিয়েছে, উপাচার্য, শিক্ষাবিদ এবং সিনিয়র অনুষদ সদস্যদের সঙ্গে অনুষ্ঠিত ‘হিলাল টকস’ নামে এক অনুষ্ঠানে ফিল্ড মার্শাল এ মন্তব্য করেছেন। তিনি বলেন, পানি আমাদের জন্য একটি রেড লাইন। এটি নিয়ে কোনো আপস হবে না। পাকিস্তানের ২৪ কোটির বেশি মানুষের মৌলিক অধিকার কেউ খর্ব করতে পারবে না।

এর আগে সম্প্রতি ভারত অধিকৃত কাশ্মীরের পেহেলগামে পর্যটকদের ওপর হামলার ঘটনায় ২৬ জন নিহত হওয়ার পর পাকিস্তানের সঙ্গে স্বাক্ষরিত সিন্ধু পানি চুক্তি স্থগিত করে এবং পাকিস্তানের পানিপ্রবাহ বন্ধ করার হুমকি দেয়।

আসিম মুনির বলেন, যখন একটি জাতি একজোট হয়, তখন বিশ্বের কোনও শক্তিই তাকে পরাজিত করতে পারে না। তিনি সাম্প্রতিক ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনাকে ‘মারকায়ে হক’ হিসেবে অভিহিত করে বলেন, আল্লাহ আমাদের সহায় হয়েছেন।

তিনি বলেন, পাকিস্তান ও ভারত পরস্পরের ভূখণ্ডে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায়। ভারতীয় হামলার জবাবে পাকিস্তান ‘অপারেশন বুনইয়ান-উম-মারসুস’ চালিয়ে ভারতের একাধিক সামরিক স্থাপনায় আঘাত হানে।

এই অভিযানে পাকিস্তান ভারতের ৬টি যুদ্ধবিমান (যার মধ্যে ৩টি রাফাল) ও ডজনখানেক ড্রোন ভূপাতিত করে। পরে ১০ মে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যস্থতায় দুই দেশ যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়।

কাশ্মীর প্রসঙ্গে পাকিস্তান সেনাপ্রধান বলেন, পাকিস্তান কাশ্মীরকে কখনো ভুলবে না বা ছেড়ে দেবে না। এটি একটি আন্তর্জাতিক ইস্যু এবং ভারত এখন আর এটিকে দমন করতে পারবে না।

তিনি ভারতের সন্ত্রাসবাদ অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে বলেন, সন্ত্রাসবাদ ভারতের অভ্যন্তরীণ সমস্যা। সেখানে সংখ্যালঘুদের ওপর, বিশেষ করে মুসলিমদের বিরুদ্ধে দমন-পীড়ন ও বৈষম্য এ সমস্যার প্রধান কারণ।

বেলুচিস্তানে ভারত-সমর্থিত সন্ত্রাসীদের বিষয়ে তিনি বলেন, এই সন্ত্রাসীদের বেলুচদের সঙ্গে কোনো সম্পর্ক নেই। তারা বাইরের শক্তির ইন্ধনে কাজ করছে।

অনুষ্ঠানে তিনি শিক্ষকদের ভূয়সী প্রশংসা করে বলেন, শিক্ষকরা জাতির ভবিষ্যৎ প্রজন্মের চরিত্র গঠনের দায়িত্বে আছেন। পাকিস্তানের ইতিহাস ও আত্মত্যাগের কাহিনি নতুন প্রজন্মকে জানাতে হবে।

‘হিলাল টকস’ অনুষ্ঠানে শিক্ষাবিদরা সেনাবাহিনীর প্রতি তাদের সমর্থন ও শ্রদ্ধা জানিয়ে বলেন, এই নিরাপদ মাতৃভূমি আমাদের সশস্ত্র বাহিনীর জন্যই নিরাপদ। আমরা গর্বিত এবং সবসময় তাদের পাশে আছি।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন