দুই কারখানা মালিক, ভবন মালিকের স্ত্রী ও আত্মীয়স্বজন গ্রেফতার
ডেস্ক নিউজ
সাভারে মর্মান্তিক ভবন ধসের ঘটনায় রানাপ্লাজার মালিক সোহেল রানার স্ত্রী ও ভবনটির ২ কারখানা মালিককে গ্রেফতার করা হয়েছে। শুক্রবার রাত ১.১০ মিনিটে সাভারে অবস্থানরত আইসপিআরের মাধ্যমে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মহিউদ্দিন খান আলমগীর।
জানা যায়, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশের পর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের অধীনে সম্মিলিত বাহিনীর অভিযানে তাদের আটক করা হয়। আটককৃতরা হল রানাপ্লাজার মালিক সোহেল রানার স্ত্রী সুমি ও চাচাতো ভাই জাহাঙ্গীর, ভবনটির ২ কারখানা মালিক মাহমুদুর রহমান আদনান ও বজলুর রহমান।
উল্লেখ্য এর আগে মানিকগঞ্জে রানাপ্লাজার মালিক সোহেল রানার ভাবী মুন্নি ও ফুফা আনোয়ারকে গ্রেফতার করে পুলিশ। মানিকগঞ্জের হরিরামপুরের ঝিটকা গ্রামের পোদ্দারপাড়া এলাকা থেকে রানার দুই নিকটাত্মীয়কে গ্রেফতার করে সাভার থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। গ্রেফতারকৃতরা হলেন- সোহেল রানার চাচাতো ভাই জাহাঙ্গীর আলমের স্ত্রী মুন্নি বেগম (৩২) ও মুন্নির ফুফা আনোয়ার হোসেন (৫০)। মুন্নির বাবার বাড়ি ঝিটকা পোদ্দারপাড়া।
শুক্রবার সকালে ঝিটকার গ্রামের নিজ বাড়ি থেকে তাদের গ্রেফতার করে সাভার ও হরিরামপুর থানা পুলিশ।
গ্রেফতার হওয়া দুই মালিক হলেন- নিউ ওয়েব বটমস ও নিউ ওয়েব স্টাইলের দুই মালিক বজলুস সামাদ আদনান (৪৫) ও মাহমুদুর রহমান তাপস।
ওই ভবনে ফ্যান্টম অ্যাপারেলস, ফ্যান্টম ট্যাক লিমিটেড ও ইথার টেক্সটাইল লিমিটেড নামে আরও ৩টি গার্মেন্টস রয়েছে। এ ৩ গার্মেন্টসের ২ মালিক এখনও পলাতক। তারা হচ্ছেন- ফ্যান্টম অ্যাপারেলস, ফ্যান্টম ট্যাক লিমিটেডের মালিক মো. আমিনুল ইসলাম এবং ইথার টেক্সটাইল লিমিটেডের মো. আনিসুর রহমান। তবে তাদের গ্রেফতারের জন্য অভিযান চলছে বলে জানান ঢাকা জেলা পুলিশ সুপার হাবিবুর রহমান।
শুক্রবার সাভারের রানা প্লাজার মালিক সোহেল রানা এবং ওই ভবনের পাঁচ পোশাক কারখানার মালিকদের গ্রেফতারের নির্দেশ দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। যদিও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং যুবলীগের পক্ষ থেকে রানা আওয়ামী লীগ বা যুবলীগের কেউ নয় বলে এখনো দাবি করা হচ্ছে।