নাইক্ষ্যংছড়িতে কলেজে ছুরিকাঘাতের ঘটনায় গ্রেফতার ৩

fec-image

নাইক্ষ্যংছড়ি হাজি এম এ কালাম সরকারি কলেজের ছুরি মারার ঘটনায় মামলা আরও ২ জনকে গ্রেফতার করেছে থানা পুলিশ। এ নিয়ে গ্রেফতারের সংখ্যা দাড়ালো -৩ জনে । বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন থানার অফিসার ইনচার্জ টানটু সাহা।

তিনি জানান, কলেজে শনিবারের ঘটনায় ৯ জনকে আসামি করে ১টি মামলা হয়েছে। এদের মধ্যে ৩ জনের নাম উল্লেখ করা হয়। বাকিরা অজ্ঞাত।

আটককৃত আসামি হলো – রাকিবুল ইসলাম (২১) রহিমুল্লাহ (২১) ও মো. ইসা (২০)। রাকিবুল ইসলাম (২১) রহিমুল্লাহ (২১) এর বাড়ি পার্শ্ববর্তী রামু উপজেলার কচ্ছপিয়া ইউনিয়নে। মো. ইসা (২০) বাড়ি রামুর গর্জনিয়ায়। তারা ৩ জনই এ কলেজের ছাত্র।

আর এ মামলাটি করেন ঘটনায় আহত আক্তার হোসেনের ভাই রামু উপজেলা ছাত্রলীগ নেতা ইমাম হোসেন ইমরান।

মামলার বাদী তার এজাহারে উল্লেখ করেন, তার ভাই মেধাবী ছাত্র। পাশাপাশি আসামি উচ্ছৃঙ্খল ও সন্ত্রাসী। তারা নিয়মিত ইভটিজিং এরমতো অপরাধের সাথে জড়িত।

এছাড়া ছুরি সহ অস্ত্র-শস্ত্র নিয়ে কলেজে আসে-যায়। ঘটনার দিনও তারা এ ধরনের ঘটনা ঘটিয়ে তার ভাই ও তার এলাকার অপর আহত সাগরকে ছুরিকাঘাত করে। তারা দু’জনই এখন হাসপাতালে। তাদের মধ্যে সাগরের অবস্থা আশঙ্কাজনক।

এদিকে কলেজের সাধারণ ছাত্র-ছাত্রীদের দাবি, তারা চায় তাদের প্রিয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে রাজনীতি মুক্ত ।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে এসব শিক্ষার্থী বলেন, তাদের প্রতিষ্ঠান প্রধানের সামনে ন্যাক্কারজনক ঘটনা ঘটে সে দিন। কিন্তু কলেজ প্রধান সেদিনও কোন ব্যবস্থা নিতে পারেন নি। এর আগেও এধরনের অনেক ঘটনা ঘটলেও তিনি শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হয়েছেন বার বার। তা থেকে বুঝা যায় তার অবস্থা নড়বড়ে। তারা এসব অবস্থার উত্তরণ চায়। এভাবে একই বক্তব্য দেন অনেক অভিভাবকও।

অভিভাবকরা বলেন, এ ঘটনার কলেজের অবস্থা থমথমে। শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি অনেক কম। শিক্ষার্থীরা আগে নিরাপত্তা চায়।

হাজি এম এ কালাম সরকারি কলেজ প্রধানের বক্তব্য নেওয়ার জন্য একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ না করাই তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।

উল্লেখ্য, গত শনিবার সকাল সাড়ে ৯টায় নাইক্ষংছড়ি হাজি এম এ কালাম সরকারি কলেজ ক্যাম্পাসে উপর্যপুরি ছুরিকাঘাতে ২ ছাত্র গুরুতর আহত আহত হয়েছিলো। তারা হলো-শহিদুল কামাল (১৭) সে কাউয়ারখোপের নুর মোহাম্মদের ছেলে।

অপরজন আক্তার হোসেন (১৭)। সে একই এলাকার আবল শাহমার ছেলে। এদের একজনের অবস্থা গুরুতর। এ ঘটনার জের ধরে আহত ছাত্রের সমর্থকরা নাইক্ষ্যংছড়ি- রামু অবরোধ অবরোধ করে রাখে ৬ ঘন্টা। ককসবাজার সদর আসনের এমপি ও জেলা পুলিশ সুপারের আশ্বাস ও হস্তক্ষেপে তারা অবরোধ তুলে নেন। এরই সূত্র ধরে নাইক্ষ্যংছড়ি থানায় মামলা হয় রোববার রাতে।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন