কর্মক্ষম জনগোষ্ঠীকে জনসম্পদে পরিণত করতে কাজ করছে ‘সিপ’: যুগ্ম সচিব

fec-image

স্কিলস ফর এমপ্লয়মেন্ট ইনভেস্টমেন্ট প্রোগ্রাম (SEIP) এর প্রকল্প পরিচালক ( যুগ্ম সচিব) ড. সানোয়ার জাহান ভূঁইয়া বলেন, বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় সম্পদ হলো- বিশাল কর্মক্ষম জনগোষ্ঠী। বাংলাদেশকে একটি সমৃদ্ধ ও সম্পদশালী দেশে রূপান্তর করতে হলে কর্মক্ষম জনগোষ্ঠীকে জনসম্পদে পরিণত করতে হবে। কারণ সরকার জনসম্পদকে জনশক্তিতে রূপন্তর করতে বিভিন্ন পদক্ষেপের মাধ্যমে গত এক যুগ ধরে চেষ্টা চালাচ্ছে।

সোমবার (১৩ জুন) সকালে জেলা প্রশাসনের আয়োজনে প্রশাসনের মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত স্কিলস ফর এমপ্লয়মেন্ট ইনভেস্টমেন্ট প্রোগ্রাম (SEIP) এর সাথে জেলারক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী প্রতিনিধিদের অবহিতকরণ কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

তিনি আরও বলেন, সরকারের গৃহীত পদক্ষেপের কারণে গত এক যুগ ধরে দেশের অর্থনীতি ধারাবাহিকভাবে প্রবৃদ্ধি অর্জন করে চলেছে। ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে একটি সমৃদ্ব ও সম্পদশালী পরিণত করতে সরকার যে পদক্ষেপগুলো নিয়েছে তা বাস্তবায়ন করতে হলে আমাদের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির ধারাকে আরও বেগবান করতে হবে।
যুগ্ম সচিব আরো বলেন, বাংলাদেশের অর্থনীতিতে রেমিট্যান্সের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। প্রবাসীদের পাঠানো এ অর্থ দেশের আর্থসামাজিক উন্নয়নে অন্যতম অনুঘটক হিসেবে বিবেচিত। কারণ বিদেশে দক্ষতাসম্পন্ন কর্মীর ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। দক্ষতা অর্জন করে বিদেশে গেলে উপযুক্ত কাজের পাশাপাশি ভাল বেতনের নিশ্চয়তা মেলে। তাই বিদেশে ভাল কাজ ও উন্নত বেতনের জন্য অবশ্যই দক্ষকর্মী পাঠানোর ব্যবস্থা জরুরি।

যুগ্ম সচিব আরও বলেন, ২০১৪ সাল থেকে (SEIP) কার্যক্রম শুরু করেছে। এ প্রকল্পের অধীন ২০২৪ সালের মধ্যে ৮ লাখ ৪০ হাজার দক্ষ জনশক্তি গড়ে তোলা হবে। বর্তমানে সাড়ে ৫ লাখ ব্যক্তি প্রশিক্ষণ নিয়েছেন। সফলভাবে প্রশিক্ষণ সম্পন্নকারীদের মধ্যে ৬০ শতাংশ কর্মসংস্থানের সুযোগ করে দেওয়া হয়েছে। এ কার্যক্রমে ৩০ শতাংশ নারীর অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা হয়েছে। এছাড়াও সুবিধাবঞ্চিত মানুষকে প্রশিক্ষণ চলাকালে ভাতার পাশাপাশি কমপক্ষে ১ লক্ষ জনগণকে বিশেষ বৃত্তি দেওয়া হচ্ছে।

রাঙামাটি জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মিজানুর রহমানের সভাপতিত্বে এসময় বিশেষ অতিথি ছিলেন (SEIP) এর কনসালটেন্ট জেন্ডার এন্ড সোস্যাল ডেভেলপমেন্ট স্পেশালিস্ট ( যুগ্ম সচিব ) মাহবুবা ফারজানা। অনুষ্ঠানের সঞ্চালনা করেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মো. মামুন মিয়া।

Print Friendly, PDF & Email
ঘটনাপ্রবাহ: রাঙামাটি
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন