নাইক্ষ্যংছড়ি-মিয়ানমার সীমান্তে যুদ্ধবিমান থেকে গোলাবর্ষণ

fec-image

বান্দরবান নাইক্ষ্যংছড়ি-মিয়ানমার সীমান্তে ফের গভীর রাতে যুদ্ধ বিমান থেকে গোলা বর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। ফলে সীমান্তবাসীদের মনে নতুন করে আতঙ্ক ছড়িয়েছে।

সীমান্তে বসবাসকারীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, শুক্রবার (৫ নভেম্বর) রাত সাড়ে ১২টা থেকে রাত ১টা পর্যন্ত ঘুমধুমের বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তের ৩১, ৩৪, ৩৫ ও ৩৮ নম্বর পিলার দিয়ে কিছুক্ষণ পরপর মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর যুদ্ধ বিমান থেকে বিভিন্ন ধরনের গোলা নিক্ষেপের শব্দ পাওয়া যায়। এই গোলা বিস্ফোরণের বিকট শব্দে মানুষের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। ভয়ে ফজরের নামাজ মসজিদে গিয়ে আদায় করেনি বহু মুসল্লি।

ঘুমধুম ইউনিয়ন পরিষদের ৩নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মো. আলমের সঙ্গে কথা হলে তিনি জানান, রাত ১২টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত মোট তিন দফা মিয়ানমার যুদ্ধ বিমান থেকে ব্যাপক গোলা নিক্ষেপের শব্দ তিনি শোনেন। আবার মিয়ানমারের অভ্যন্তরের কিছু দূরের স্থলভাগ থেকে অনবরত গোলাগুলির আওয়াজও শুনেছেন।

তুমব্রুং বাজারের ব্যবসায়ী মো. সারোয়ার জানান, পরিবার-পরিজন এবং পাড়া প্রতিবেশীকে নিয়ে চিন্তায় আছেন। মিয়ানমার সীমান্তে বর্মী বাহিনীর যা দেখাচ্ছে তা নিয়ে অদূর ভবিষ্যতে নিয়ে ভাবনায় আছেন?

ঘুমধুম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আজিজ বলেন, কয়েক দিন বন্ধ থেকে আবারো গোলাগুলির শব্দে আমাদের মাঝে আতঙ্ক বাড়িয়েছে।

স্থানীয় এনজিও কর্মী ফারহান বলেন, গত একমাসের মধ্যে শুক্রবারের বিস্ফোরণের আওয়াজ ছিল ভয়াবহ। তার পরিবারের কোন সদস্যই রাতে গোলার আওয়াজের পর থেকে ভয়ে ঘুমাতে পারেননি।

অপরদিকে সরকারের বিভিন্ন গোয়েন্দা সূত্রে জানা গেছে, বাংলাদেশ-মিয়ানমারের সীমান্ত জুড়ে বিজিবির টহল বৃদ্ধিসহ সীমান্তের বিভিন্ন সম্ভাব্য পয়েন্টে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ ঠেকাতে কঠোর নজরদারি রয়েছে।

Print Friendly, PDF & Email
ঘটনাপ্রবাহ: গোলাবর্ষণ, মিয়ানমার সীমান্ত
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন