‘পাবর্ত্যাঞ্চলের উপজাতিদের জোরপূর্বক বাঙালি পরিচয় দিতে বাধ্য করা হচ্ছে’

fec-image

অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান সংবিধানে দেশের সকল নাগরিককে জাতি হিসেবে বাঙালি বলার বিরোধিতা করে বলেছেন, পাবর্ত্যাঞ্চলের বিভিন্ন উপজাতিদের জোরপূর্বক বাঙালি পরিচয় দিতে বাধ্য করা হচ্ছে। এতে বাংলাদেশি সার্বভৌমত্বের মধ্যে ঐক্য ধ্বংশ করে বিভাজন সৃষ্টি করা হয়েছে।

বুধবার (১৩ নভেম্বর) হাইকোর্টে সংবিধানের ১৫তম সংশোধনী বাতিলের রুলের শুনানিতে তিনি এই মন্তব্য করেন।

অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, ‘‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে ‘জাতির পিতা’ হিসেবে সংবিধানে স্বীকৃতি দেওয়া মূল সংবিধানের পরিপন্থী। শেখ মুজিবুর রহমানের অবদানকে কেউ অস্বীকার করতে পারে না, কিন্তু তাঁকে জাতির পিতা হিসেবে সংবিধানে স্বীকৃতি দেওয়া মূল সংবিধানের প্রতি অসংগতিপূর্ণ।’’

রাষ্ট্রপক্ষ কেন এই সংশোধনী বাতিল চায় সেই যুক্তি তুলে ধরতে গিয়ে অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, ‘‘মুক্তিযুদ্ধের চেতনা মানে এই নয় যে, শত শত মানুষকে গুম করা, হত্যা করা, নির্বিচারে গায়েবি মামলা দেওয়া কিংবা তথা কথিত গণতন্ত্রের নামে জনগণের সাথে প্রতারণা করা।’’

২০১১ সালে ১৫তম সংশোধনীতে বঙ্গবন্ধুকে ‘জাতির পিতা’ হিসেবে সংবিধানে অন্তর্ভুক্ত করা হয়, যা এখন হাইকোর্টে চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন। শুনানি চলাকালে অ্যাটর্নি জেনারেল এই যুক্তি তুলে ধরেন, যেখানে তিনি বলেন, সংবিধানের মৌলিক কাঠামো এবং মূল লক্ষ্যের প্রতি সঙ্গতি রেখে কোনো ব্যক্তি বিশেষের উপাধি সংবিধানে যুক্ত করা

এর আগে, গত ১৬ অক্টোবর তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম বঙ্গবন্ধুকে জাতির পিতা হিসেবে স্বীকৃতি দেয়ার বিষয়ে মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে অন্তর্বর্তী সরকার ‘জাতির পিতা’ হিসেবে বিবেচনা করে না। তার এই বক্তব্যে জাতীয়ভাবে বিতর্ক সৃষ্টি হয় এবং সামাজিক ও রাজনৈতিক ক্ষেত্রে ব্যাপক আলোচনা শুরু হয়।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন