পাহাড় আর সমতলের মানুষের সেতুবন্ধ তৈরিতে এক অনন্য উদ্যোগ


পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে ঢাকায় গতকাল থেকে শুরু হয়েছে পাঁচ দিনব্যাপী পাহাড়ি ফল মেলা ২০২৫। বাংলাদেশ সরকারের এই মন্ত্রণালয় রাজধানী ঢাকার প্রাণকেন্দ্র বেইলি রোডের পার্বত্য কমপ্লেক্সে এ মেলা চলবে ৫ জুলাই শনিবার পর্যন্ত।
পাহাড় আর সমতলের মানুষের মধ্যে সেতুবন্ধ তৈরি ও পাহাড়ের কৃষকদের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে এই ব্যতিক্রমী মেলার আয়োজন করেছে মন্ত্রণালয়। মেলায় নানা রকম ফলের স্টল সাজিয়ে ক্রেতাদের জন্য অপেক্ষায় আছেন পাহাড়ি উদ্যোক্তারা। গতকাল ১ জুলাই মঙ্গলবার বিকেলে পাহাড়ি ফল মেলা উদ্বোধন করেন অন্তবর্তী সরকারের পার্বত্য উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা। মেলার উদ্বোধন শেষে তিনি মেলার বিভিন্ন স্টল ঘুরে দেখেন এবং উদ্যোক্তাদের সাথে কথা বলেন।
গতকাল আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হলেও মূলত আজ বুধবার সকাল থেকে শুরু হয় বেচাবিক্রি। সকালে ক্রেতাদের ভিড় কিছুটা কম দেখা গেলেও বিকেলে মেলায় আশানুরূপ ক্রেতা দর্শনার্থী হবে বলে আশা করছেন স্টল মালিকরা। মেলায় আগত ক্রেতা-দর্শনার্থীরা রাজধানীর বুকে পাহাড়ের তরতাজা এবং ফরমালিনমুক্ত হরেক রকম ফল পেয়ে আয়োজকদের ধন্যবাদ জানিয়েছেন। তবে এসব ফল যেহেতু বিষমুক্ত, তাই দাম তুলনামূলক কিছু বেশি বলে জানান তারা।
নানা রকম প্রাকৃতিক সম্পদে ভরপুর বাংলাদেশের পার্বত্য ভূমি। প্রকৃতির অপরূপ সাজে সজ্জিত এই পাহাড় অঞ্চলে রয়েছে নানা রকম ফলমূল। প্রায় সারাবছরই এই ফলের উৎপাদন ও বাজারজাত হলেও রাজধানী ঢাকার ক্রেতারা সরাসরি পাহাড়ি ফল কিনতে পারেন না। মধ্যসত্তভোগীদের মাধ্যমে অনেকগুলো হাত ঘুরে এই ফল ঢাকার মানুষের কাছে হাজির হলেও দাম থাকে চড়া অথবা মান থাকে নিম্ন। এতে একদিকে ক্রেতারা যেমন ঠকছেন তেমনি পাহাড়ের ফল চাষীরাও লাভবান হতে পারছেন না। কঠোর পরিশ্রম ও নানা প্রতিকূলতা মোকাবেলা করে তারা পাহাড়ে ফলের চাষ করেও বঞ্চিত হচ্ছেন ন্যান্য মূল্য থেকে।
পাহাড় আর সমতলের মানুষের মধ্যে সেতুবন্ধ তৈরিতে এই পাহাড়ি বিশেষ ভূমিকা রাখবে বলে আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা। তারা বলছেন, এই মেলার মধ্য দিয়ে পাহাড়ের প্রকৃত ফল চাষীরা যাতে উপকৃত হয় সেদিকেও নজর দিতে হবে মন্ত্রণালয়কে।