পেকুয়ায় প্রথমবারেই রাইস ট্রান্সপ্লান্টে বোরো ধান রোপণে ব্যাপক সাড়া

কক্সবাজারের পেকুয়ায় প্রথমবারের মত রাইস ট্রান্সপ্লান্টের মাধ্যমে সাড়া ফেলেছে বোরো ধানের চারা রোপণ পদ্ধতি।
রবিবার (২৯ জানুয়ারি) পেকুয়া উপজেলার মগনামা ইউনিয়নের মহুরী পাড়া এলাকায় উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর পেকুয়ার সার্বিক তত্ত্বাবধানে রাইস ট্রান্সপ্লান্টের মাধ্যমে বুরো ধানের চারা রোপণ করেন ওই এলাকার কৃষক খালেদ বিন সমাদ।
কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, কৃষকদের উৎপাদন খরচ কমিয়ে উৎপাদন বাড়াতে সরকার ৭০% ভুতুর্কিতে ও ৩০% টাকা দিয়ে কৃষকদেরকে রাইস ট্রান্সপ্লান্ট মেশিন কিনার সুযোগ করে দিয়েছেন। এতে করে একদিকে খরচ কমবে অন্যদিকে ফসল উৎপাদন বাড়বে।
কৃষক খালেদ বিন সমাদ বলেন, রাইস ট্রান্সপ্লান্টের মাধ্যমে এক ঘন্টায় ৪০ শতক জমির ধানের চারা রোপণ করা যায়। সময় ও খরচ বাঁচবে, বাড়বে ফসল, বাড়বে উৎপাদন। আমার জমিগুলোর ধান রোপণ করে অন্য জনের জমিও রোপণ করছি। উপজেলা কৃষি অফিসের সহযোগিতার মাধ্যমে এ মেশিন কিনতে পেরেছি। কৃষি অফিসার ও ব্লক অফিসারের সার্বিক দিকনির্দেশনা নিচ্ছি। কানি প্রতি ২ হাজার টাকা বাঁচবে।
উপকারভোগী নুরুল হোছাইন জানান, এ মেশিনে আমার জমি চারা রোপণ করছি। স্বাভাবিকভাবে করলে ৫ হাজার টাকা খরচ হয় কিন্তু এ মেশিন দিয়ে করছি ৩ হাজার টাকা খরচ হল। এ মেশিন আসায় কৃষকদের কষ্ট কমে গেলো।
উপজেলা কৃষি অফিসার তপন কুমার জানান, রাইস ট্রান্সপ্লান্টের মাধ্যমে ধানের চারা রোপণ করলে একদিকে যেমন খরচ বাঁচবে অন্যদিকে উৎপাদনও বাড়বে। স্বাভাবিকভাবে রোপণ করলে ৪ হাজার ৫ শত টাকা খরচ হয়। মেশিন দিয়ে করলে ২ হাজার ৮ শত টাকা কিংবা ৩ হাজারের মধ্যে করা সম্ভব। এ মেশিনটি বাজার মূল্য ৪ লাখ টাকা কিন্তু সরকার ৭০% ভুত্তুকিতে ১ লাখ ২০ হাজার টাকায় দিচ্ছে কৃষকদের।