পেকুয়ায় কালবৈশাখী ঝড়ে লণ্ডভণ্ড ঘরবাড়ি

fec-image

কক্সবাজারের পেকুয়ায় কালবৈশাখী ঝড়ের তাণ্ডবে বাড়িঘর লণ্ডভণ্ড হয়ে গেছে। বৃহস্পতিবার (২ মে) ভোরে উপজেলার উজানটিয়া ও মগনামা শীলখালী ইউনিয়নে এ ঘটনা ঘটে।

জানা যায়, উজানটিয়া ইউনিয়নের মালেকপাড়া, ফেরাসিঙ্গা পাড়া, ষাড়ধুনিয়া পাড়া, বাজার পাড়া, মগনামা ইউনিয়নের কালার পাড়াসহ আরো কয়েকটি পাড়ায় এবং শীলখালীতে হঠাৎ ঘূর্ণিপাকে ১৫টি বসতবাড়ি বিধ্বস্ত হয়ে যায়। তাছাড়া উপজেলার অন্যান্য ইউনিয়নগুলোতেও ছোটবড় বহু ঘর আংশিক ভেঙে গেছে। কালবৈশাখী ঝড়ের আঘাতে বেশ কয়েকজন নারীপুরুষ আহত এবং রাজাখালী ও মগনামায় বজ্রপাতে ২ লবণচাষীর মৃত্যু হয়েছে।

এদিকে উজানটিয়ার বাসিন্দা কক্সবাজার জজ কোর্টের আইনজীবী মীর মোশাররফ হোসেন টিটু বলেন, আমাদের ৮নং ওয়ার্ডের মালেক পাড়ায় কালবৈশাখী ঝড়ে বসত বাড়ি বিধ্বস্ত হয়ে বেশ কয়টি পরিবার খোলা আকাশের নিচে দিনাতিপাত করছে। প্রশাসনের সুদৃষ্টি কামনা করেন তিনি।

উজানটিয়া ইউপি চেয়ারম্যান তোফাজ্জল করিম বলেন, আমার ইউনিয়নে হঠাৎ আঘাতে ১০টি বাড়িঘর ভেঙে যায়। যেখানে ৫টি বাড়িঘর সম্পূর্ণভাবে ধ্বংস হয়ে যায় বলে তিনি দাবি করেন। এমনকি বেশকিছু দোকানঘরও ভেঙে যায়।

শীলখালী ইউপি চেয়ারম্যান কামাল হোসেন জানান, তার ইউনিয়নে ছোট-বড় ৩-৪টি ঘর আংশিক ভেঙে গিয়েছে।

মগনামা ইউিপ সদস্যরা বলেন, আমাদের ইউনিয়নেও ৬-৭টি কৃষকের বাড়ি টর্নেডোর আঘাতে বিধ্বস্ত হয়েছে।

এদিকে তাৎক্ষনিকভাবে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানগণ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।

উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আবু তাহের বলেন, আমরা ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোকে শুকানো খাবার বিতরণ করছি।

এ ব্যাপারে পেকুয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম বলেন, বাতাসের প্রবল ঘূর্ণিপাকের কারণে সবকয়টি ইউনিয়নে বেশ কয়েকটি বসতবাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে। আমি সহকারী কমিশনার ভূমিকে ঘটনাস্থলে পাঠিয়েছি। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোকে শুকানো খাবার দেওয়া হয়েছে। তাছাড়াও ইউপি চেয়ারম্যানগণ ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা দিলে সরকারী অনুদানের ব্যবস্থা করা হবে। এদিকে বজ্রপাতে নিহত দুই লবণচাষীর পরিবারকে ২৫ হাজার টাকা করে নগদ আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হয়েছে।

Print Friendly, PDF & Email
ঘটনাপ্রবাহ: কক্সবাজার, কালবৈশাখী ঝড়, পেকুয়া
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন