বিদায় ২০১৯, স্বাগত ২০২০ সাল

বছর শেষে পর্যটকে ঠাসা কক্সবাজার

fec-image

বিদায় ২০১৯, স্বাগত ২০২০ সাল। শুভ ইংরেজি নববর্ষ ২০২০। কনকনে শীত আর ঘন কুয়াশা সরিয়ে উদ্ভাসিত নতুন সূর্য সব জরা-জীর্ণতাকে পেছনে ফেলে আরও একটি নতুন বছরের সূচনা। নতুন বছরে নব আনন্দে জাগার দিন আজ। তাই তো কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর লিখেছেন, নব আনন্দে জাগো আজি নববিকিরণে/শুভ্র সুন্দর প্রীতি-উজ্জ্বল নির্মল জীবনে।/উৎসারিত নব জীবননির্ঝর উচ্ছ্বাসিত আশাগীতি/অমৃতপুষ্পগন্ধ বহে আজি এই শান্তিপবনে।

মঙ্গলবার (৩১ ডিসেম্বর) সূর্যাস্তের মধ্য দিয়ে শেষ হলো একটি বছরের হিসাব-নিকাশ। কুয়াশার চাদর ভেদ করে বুধবার (১ জানুয়ারি) নতুন বছরের প্রথম সূর্য দেখে নতুন আশায় বুক বাঁধবে মানুষ। ২০১৯ সালে আমাদের কারো হিসাবের খাতায় জমা হয়েছে অনেক অনেক সাফল্য, স্মরণীয় দিন। আবার কারো হিসাব ব্যর্থতা, হাহাকার আর শোকে কষ্টে ভরা। অতীতের সকল অসুন্দর এবং ব্যর্থতাকে পেছনে ফেলে সুন্দর আগামীর প্রত্যাশায় মানুষ স্বাগত জানালো ২০২০ সালকে।

‘যেতে নাহি দিব’ এ চিরন্তন বিলাপধ্বনির ভেতরে থার্টি ফার্স্টে কক্সবাজারে লাখ লাখ মানুষ পরমানন্দে নতুন বছরকে বরণ করে। কিন্তু এবারও প্রশাসনের বিধি নিষেধ থাকার কারণে লাখো কণ্ঠে লাখো মানুষে মিলিত হয়ে বরণ ও বিদায় দিতে পারেনি। তবুও বিগত বছরের সব কালিমা ধুয়ে-মুছে নতুন কেতন ওড়াতে ওড়াতে এগিয়ে যাবে সময়।

এগিয়ে যাবে সভ্যতা, হিংসা-বিদ্বেষ-হানাহানিমুক্ত রাজনীতি, অর্থনীতি আর সংস্কৃতি। অনাবিল স্বপ্ন আর অফুরন্ত প্রাণোন্মাদনা নিয়ে নতুন সূর্যের আলোয় অগ্রসর হবে মানুষ। তাই বলা যায়, বিগত সময়ের সব ভুল শুধরে নেয়ার সময় এসেছে আজ।

তবে : ২০১৯ সালকে বিদায় ও ২০২০ বরণকে ঘিরে বিশ্বে র দীর্ঘতম সমুদ্র শহর কক্সবাজারে এবার চোখে পড়েছে লাখো পর্যটক। ৩১ ডিসেম্বরের আগে ও পরে প্রতিবছর এ উপলক্ষে কক্সবাজারে সমাগত হয়ে থাকে ৩ লক্ষাধিক দেশি-বিদেশী পর্যটক। এবার কক্সবাজার একদিন মাত্র সরকারী ছুটি হওয়ায় পর্যটক আগের চেয়ে অনেক কম বলে জানিয়েছেন হোটেল মালিকরা।

এছাড়া বছরের শেষদিন অর্থাৎ থার্টিফাস্ট নাইটকে ঘিরে প্রতিবছর জমে উঠে কক্সবাজারের তারকামানের হোটেলগুলো। থাকে কনসার্ট ও বিভিন্ন পরিবেশনা। বর্ষশেষ উদযাপন ও নতুন বছরকে স্বাগত জানাতে অনেকেই পরিবার পরিজন নিয়ে একত্রিত হয় কয়েকলাখ মানুষ। মূখরিত হয়ে উঠে আনন্দ-উল্লাসে। হোটেল মালিকরা জানান-অন্যবার থার্টিফার্স্ট নাইট উপলক্ষে আগ থেকেই ফ্যামিলিপার্টি ও করপোরেট পার্টির জন্য এসব হোটেলে ভেন্যু বুকিং থাকে। প্রশাসনের বাধা-নিষেধের জন্য এসব হোটেলে এবার বিশেষ আয়োজন তেমন টা হচ্ছে না।

কক্সবাজার হোটেল-মোটেল মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আবুল কাশেম সিকদার বলেন-প্রতিবছর থার্টিফাস্টকে কেন্দ্র বিভিন্ন হোটেলের পক্ষ আয়োজন করা হয় কিন্তু এবার প্রশাসনের বিধিনিষেধের কারনে কোন আয়োজন নেই। আমরা চেয়েছিলাম প্রশাসনের সাথে বসে পর্যটকদের নিরাপত্তা ও ব্যবসায়ীদের কথা চিন্তা করে কিছু করার প্রশাসন তা নিষেধ করে দেয়। একারনে হোটেল ব্যবসায়ীরা কিছুটা ক্ষতির সম্মুখিন হচ্ছে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে-থার্টিফাস্ট নাইট ও পরের কয়েকদিনের জন্য সেন্টমার্টিনদ্বীপের সকল হোটেল, কটেজ বুকিং হয়ে গেছে অনেক আগেই থেকে।

Print Friendly, PDF & Email
ঘটনাপ্রবাহ: রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, শুভ ইংরেজি নববর্ষ
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন