বাইশারীতে গাইড ওয়াল ভেঙে সড়কে ধস, দুভোর্গ চরমে
বান্দবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার বাইশারী ইউনিয়নের ফারিখালের উপর নির্মিত কোটি টাকা ব্যয়ে রাবার ড্যাম প্রকল্পের আওতাধীন গাইড ওয়াল ধসে খালে পড়ায় সড়কে বেহাল দশায় পরিণত হয়েছে। বাজারে যাওয়ার একমাত্র সড়কটি ধসে পড়ায় এখন চরম বিপাকে পড়েছে ৫টি গ্রামের কয়েকশ পরিবার।
স্থানীয়রা জানান, গত ২ সপ্তাহ আগের টানা বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে এলজিইডি নির্মিত রাবার ড্যাম প্রকল্পের আওতাধীন গাইড ওয়ালটি ভেঙে যাওয়ার ফলে চলাচলের একমাত্র রাস্তাটি ও খালের পেটে চলে যায়। এতে চরম ঝুঁকিতে রয়েছে রাবার ড্যামের পাশে বসবাসরত বসত ঘরগুলো। যে কোন মুহূর্তে ধসে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বাকি গাইড ওয়াল সহ বসতঘর ও মুরগীর খামার। তাছাড়া কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত রাবার ড্যাম ও।
এ বিষয়ে রাবার ড্যাম প্রকল্পের দায়িত্ব থাকা আমানতুল্লাহ জানান, কৃষকদের একমাত্র ভরসা এই রাবার ড্যাম প্রকল্পের আওতাধীন শত শত কৃষক। শুকনো মৌসুমের আগেই গাইড ওয়াল নির্মাণ করা না হলে বিশাল ক্ষতির সম্মুখীন হতে পারে।
স্থানীয় ইউপি সদস্য (মেম্বার) আবু তাহের জানান, রাবার ড্যামের দুই পাশের রাস্তাটি দিয়ে দৈনিক কয়েক শত পরিবারের চলচল রয়েছে। পাহাড়ি ঢল ও বৃষ্টির পানিতে ভেঙে পানিতে পড়ে যাওয়া স্থানটি দ্রুত মেরামতের দাবি জানান তিনি।
বাইশারী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আলম কোম্পানি জানান, তিনি সরজমিনে পরিদর্শনের পর বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে অবহিত করছেন। তিনি বলেন, পাহাড়ি ঢলের পানিতে গাইড ওয়ালটি ভেঙ্গে যাওয়ায় চলাচলের পথ ও এখন খালের পেটে। তিনি বিএডিসিকে দ্রুত মেরামতের দাবী জানান।
এবিষয়ে বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশনের সহকারী ইঞ্জিনিয়ার আবু নাঈম জানান, তিনি বিষয়টি শুনেছেন রাবার ড্যাম প্রকল্পের কমিটির কাছ থেকে। তিনি বলেন, ওই গাইড ওয়ালটি এলজিইডি নির্মাণ করায় আমাদের অন্য আরেকটি ডিপার্টমেন্টের কাজের উপর হাত দেওয়ার অধিকার নাই। তারপর বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়ে কাজ করার চেষ্টা করে যাব।
উপজেলা প্রকৌশলী মো. নজরুল ইসলাম বলেন, কাজটি আমাদের ডিপার্টমেন্ট করলেও বর্তমানে রাবার ড্যাম প্রকল্পের আওতায় রয়েছে। বিএডিসি কাজটি করলে আমাদের কোন আপত্তি নাই। প্রয়োজনে আমাদের সহযোগিতায় থাকবে।