ভারতে ২ লাখ কর্মসংস্থান বাড়াবে অ্যাপল

fec-image

দিল্লি ও মুম্বাই শহরে ভারতে প্রথম ও দ্বিতীয় অ্যাপল স্টোর উদ্বোধনের জন্য দেশটিতে পাঁচ দিনের সফরে এসেছিলেন অ্যাপল সিইও টিম কুক। ভারতে অ্যাপল পণ্য বিশেষ করে আইফোন বেশ জনপ্রিয়। কিন্তু ব্র্যান্ডের নিজস্ব স্টোর না থাকায় ভারতে অ্যাপল ভক্তদের ক্ষোভ ছিল দীর্ঘদিনের। অবশেষে ঘুচল সে আক্ষেপ।

টিম কুকের ভারত সফর আইফোন নির্মাণের ২৫ বছরের ইতিহাসটা মনে করিয়ে দিচ্ছিল। গত ১৮ এপ্রিল মুম্বাইয়ে প্রথম অফিসিয়াল অ্যাপল স্টোর চালু হয়। আর ২০ এপ্রিল দিল্লিতে টিম কুক উদ্বোধন করেন দ্বিতীয় অ্যাপল স্টোর।

ভারত সফর নিয়ে টিম টুইট বার্তায় লিখেছেন, ভারতে কী অবিশ্বাস্য সপ্তাহ! সারা দেশে আমাদের দলকে ধন্যবাদ। আবারও ফিরে আসার অপেক্ষায় থাকা কঠিন।

অ্যাপল ভারতে এক্সক্লুসিভ অ্যাপল প্রিমিয়াম রিসেলার (এপিআর) স্টোর, রিলায়েন্স ডিজিটাল, ক্রোমার মতো বড় ফরম্যাটের খুচরা চেইন, মাল্টি-ব্র্যান্ড রিটেল স্টোর ছাড়াও ই-কমার্স প্ল্যাটফর্মে পণ্য বিক্রি করছে। সারা ভারতে অ্যাপল ব্র্যান্ডের শতাধিক প্রিমিয়াম স্টোর আছে। প্রিমিয়াম স্টোরগুলো ভারতে অ্যাপল স্টোর খুলতে সহায়ক ভূমিকা রেখেছে বলে বিশ্লেষকেরা জানালেন।

অ্যাপল ২০১৭ সালে ভারতে আইফোন তৈরি শুরু করে। সবশেষ ২০১৬ সালে টিম কুক ভারত সফরে এসেছিলেন। ভারত থেকে এখন ‘মেড ইন ইন্ডিয়া’ আইফোন রপ্তানি করা হয়। সূত্র বলছে, অ্যাপল ২০২২-২৩ আর্থিক বছরে ৫৫০ কোটি ডলার মূল্যের আইফোন রপ্তানি করেছে।

ভারত সফরের শেষ দিনে, অ্যাপল সিইও টিম কুক ভারতি গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান সুনীল মিত্তলের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন। দুজনেই ভারত ও আফ্রিকাতে আরও ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করার প্রতিশ্রুতির কথা জানিয়েছেন।

দিল্লি ভ্রমণের সময় টিম কুক প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে দেখা করেন। কারণ আইফোন নির্মাতা অ্যাপল বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম স্মার্টফোন বাজারে তাদের বিনিয়োগ বাড়াতে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করছে।

সরকারি সূত্র জানা গেছে, আইফোন নির্মাতা ভারতে তার চুক্তি শর্তের অনুসারে কর্মসংস্থানের সংখ্যা দ্বিগুণ করবে। ফলে দুই লক্ষাধিক কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি হবে।

চীন বিগত ১৫ বছরে অ্যাপল পণ্য ব্যবসায় যে আর্থিক সুফল নিয়েছে তা এবারে ভারতের কাছে দিতে চাইছে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক প্রতিষ্ঠানটি। সারা বিশ্বে টেক জায়ান্ট হিসেবে খ্যাত অ্যাপল ভারতের বিশাল স্মার্টফোন বাজারে নিজেদের আধিপত্য আরও বাড়াতে চাইছে। অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের রাজনৈতিক সম্পর্কের টানাপোড়ন বাণিজ্যিক দিকে প্রভাব বিস্তার করছে বলে জানিয়েছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরা। সূত্র: সমকাল

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন