মহাকালের পাতা থেকে ক্রমশ অস্পষ্ট হয়ে যাচ্ছে কাবাডি: ইয়াছমিন পারভীন তিবরীজি
আবহমান বাংলার ঐতিহ্যবাহী খেলা ‘ডুডু’। এ খেলাটি কোথাও ‘হাডুডু’ আবার কোথাও ‘কাবাডি’ নামেও পরিচিত। এক সময় গ্রামাঞ্চলের গ্রামীণ ঐতিহ্যের জনপ্রিয় খেলা ছিল এই হা-ডু-ডু। জাতীয় খেলা হিসাবে পরিচিত এ হা-ডু-ডু খেলায় ছোট থেকে বৃদ্ধ বয়সের সকলেই অংশগ্রহণ করতো। কিন্তু আধুনিক সভ্যতার ছোঁয়া ও কালের বিবর্তনে মহাকালের পাতা থেকে ক্রমশ অস্পষ্ট হয়ে যাচ্ছে এই খেলাটি।
শনিবার (১৩ নভেম্বর) সকালে জেলা ক্রীড়া সংস্থার আয়োজনে ও বাংলাদেশ কাবাডি ফেডারেশনের সহযোগিতায় জেলা পর্যায়ে অনুষ্ঠিত অনুর্ধ্ব ১৯ (বালক-বালিকা) কাবাডি প্রতিযোগিতায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক ইয়াছমিন পারভীন তিবরীজি এ কথা বলেন।
এসময় তিনি আরও বলেন, একসময় ‘ আমি একটু ডুডু খেলে আসি এই বলে জানালা দিয়ে বই রেখে দৌড় দিত ছেলে মেয়েরা। সেসময় পাড়ার সাথে অন্য পাড়ার, গ্রাম বনাম গ্রাম, উপজেলা বনাম উপজেলা এমনকি জাতীয় পর্যায়েও হা-ডু-ডু খেলার প্রতিযোগিতা আয়োজন করা হতো। এ খেলাকে ঘিরে উৎসবের আমেজ ছড়িয়ে পড়তো চারদিকে। এক সময় গ্রামাঞ্চলের গ্রামীণ ঐতিহ্যের জনপ্রিয় খেলা ছিল এই হা-ডু-ডু খেলা। কিন্তু কালের বিবর্তনে আজ খেলাটি হারিয়ে যাচ্ছে। পুরাতন ঐতিহ্যবাহী এসব খেলাগুলো যেন হারিয়ে না যায় সে লক্ষ্যে ও বর্তমানে তরুণ সমাজকে ফেসবুকের ন্যায় সামাজিক মাধ্যমে থেকে বের করে আনতে এবং প্রতিশ্রুতি মোতাবেক হারিয়ে যাওয়া কাবাডি খেলার অতীত ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনতে নিয়মিত এ ধরনের খেলার আয়োজন করা হবে বলেও জানান তিনি।
এসময় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. শেখ ছাদেকের সভাপতিত্বে পুলিশ সুপার জেরিন আখতার, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) ও (শিক্ষা ও আইসিটি) মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কুদ্দুস ফরাজী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।