মহেশখালীতে আদালতের নির্দেশে স্পীটবোট উদ্ধার করতে গিয়ে হামলার শিকার ৬ শ্রমিক
মহেশখালী পৌরসভার গোরকঘাটা এলাকার ব্যক্তি মালিকাধিন স্পীট বোট উদ্ধার করতে গিয়ে ৬ শ্রমিক হামলার শিকার হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছ।
মহেশখালী থানায় দায়েরকৃত অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, মহেশখালী গোরকঘাটার পাড়ার বাসিন্দা হুমাইদা আক্তার নিলু ও স্থানীয় পৌর কাউন্সিলর মিসকাত সিকদারের মালিকাধিন ১০টি স্পীট বোট গোরকঘাটা সমাজ কমিটি কর্তৃক জব্দ করে।
স্পীট বোট গুলি আদালতের নির্দেশে মহেশখালী থানার এস আই মুফিজুল ইসলাম গত(৫ অক্টোবর ) মঙ্গলবার দুপুরে ১০ জন শ্রমিক নিয়ে উক্ত বোট গুলি বোটের মালিকদের বুঝিয়ে দিতে গেলে গোরকঘাটার এলাকার স্থানীয় সংঘবদ্ধ একদল লাঠিয়াল বাহিনী শ্রমিকদের উপর অতর্কিতভাবে হামলা চালিয়ে তাদের আহত করেছে। পুলিশ বহুবার হামলাকারীদের নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করেছে। হামলাকারীরা সংখ্যা বেশি হওয়ার কারণে পুটিবিলা এলাকার ৬ জন শ্রমিক গুরুতর আহত হন। আহতরা হলেন, সোনা রাম দে, আলম শরিফ, করিম উল্লাহ, শাহাদত, জসিম উদ্দিন ও মো. রহিম ।
সূত্রে জানা গেছে, বাংলাদেশ অভ্যন্তরীন নৌ পরিবহণ কর্তপক্ষ বিআইডব্লিউটিএ সহকারী অর্থ কর্মকর্তা স্বাক্ষরিত এক পত্রে মহেশখালী থানার এস আই মফিজুল ইসলামকে ১০টি ম্পীট বোট মালিকানা যাচাই বাছাই করে প্রকৃত মালিকদের উক্ত বোট গুলি হস্তান্তর করতে বলা হলে তিনি যথা সময়ে তদন্ত করে উক্ত বোট গুলি উদ্ধার করতে গেলে স্থানীয় গোরকঘাটার সমাজ কমিটির লোকজন ৩দিনের সময় নেয় পুলিশ থেকে। উক্ত সময় শেষ হয়ে যাওয়ার পরে ও বোট গুলি বুঝিয়ে দিতে পারেনি বোটের মালিককে।
এদিকে মঙ্গলবার এসআই মুফিজ ১০ জন শ্রমিক নিয়ে উক্ত বোট গুলি মালিক বুঝিয়ে দিতে গেলে গোরকঘাটার এলাকার আবু বক্কর ছিদ্দিকের পুত্র ফয়সালের নেতৃত্বে সংঘবন্ধ ১৫/২০ জনের লাটিয়াল বাহিনী শ্রমিকদের উপরে হামলা চালিয়ে আহত করে। এঘটনায় আহত শ্রমিক আলম বাদী হয়ে ৯ জনের বিরুদ্ধে থানায় এজাহার দায়ের করে।
এব্যাপারে মহেশখালী থানার ওসি আব্দুল হাই জানান, শ্রমিকদের মারধর করার বিষয়টি নিয়ে একটি এজাহার পয়েছি বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।