রাঙ্গামাটিতে মিনি চিড়িয়াখানায় রেসিডেন্সিয়াল কলেজ উদ্বোধন

রাঙ্গামাটি মিনি চিড়িয়াখানায় রেসিডেন্সিয়াল কলেজ উদ্বোধন করলেন পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা। রোববার (৯ ফেব্রুয়ারী) সকালে শহরের সুখী নীলগঞ্জ এলাকায় এ কলেজটির উদ্বোধন করা হয়।

উদ্বোধনকালে পার্বত্য উপদেষ্টা বলেন, আমার ফাস্ট এজেন্ডা হচ্ছে ‘কোয়ালিটি এডুকেশন’। আমি যখন পার্বত্য পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করেছিলাম তখনো বলেছিলাম ‘কোয়ালিটি এডুকেশন ইজ ভেরি এসেনসিয়াল’।

আমাদের এখানে নটেরডেম কলেজ নাই, ভিকারুননিসা কলেজ নাই, ঢাকা কলেজ নাই। ইউনিভার্সিটি একটা দিয়েছে ভাল সেটা। কিন্তু তারপরও বেসিক ফাউন্ডেশনটা হওয়া দরকার। এ কারণে এ স্কুলটি করতে চাই। বলবো সেটা যদি সম্ভব হয় ইংলিশ কারিকুলাম নট ইংলিশ মিডিয়াম। বাংলা বাদে সব অন্যান্য সাবজেক্ট যেন ইংলিশে পড়ানো হয় এবং তারা যেন কমপেটিভিট হয়।

চিড়িয়াখানায় কলেজ নির্মাণ প্রসঙ্গে উপদেষ্টা সুপ্রদীপ বলেন, এ এলাকাটা এত ড্রাই করে রেখেছে। আমাদের বিনোদনের অনেক এলাকা আছে। এখানে বিকেএসপি আসবেই। বিকেএসপি নিয়ে আমি কাজ করছি। অগ্রিম বলা হচ্ছে কিনা আমি জানি না।

আমাদের এখানে সেনাবাহিনীর বিভিন্ন লেভেলের স্কুল আছে ওই টাইপের স্কুল দরকার। একটি ছেলেদের জন্য একটি মেয়েদের জন্য এপ্রোজ করবো। আমাদের আরও স্কুল দরকার।

উপদেষ্টা আরও বলেন, আমাদের চিটাগং হিলট্রাক্সে লোকজন বাড়বে না। দুই বাচ্চায় খুশি। তিন বাচ্চাতে যাবে না কেউ। তাই যদি হয় তাও দরকার আমাদের কোয়ালিটি। আমি কোয়ালিটিতে বিশ^াসী। কোয়ান্টিটি নিয়ে থাকতে চাই না।

রাঙামাটির বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে পার্বত্য উপদেষ্টা বলেন, বিভিন্ন স্কুল, কলেজ, বিশ^বিদ্যালয়ে শিক্ষকরা আসতে চাই না। মেডিকেলে দেখেন, কইজন ডাক্তার, কয়জন নার্স আছে। আমি শিক্ষা উপদেষ্টার সাথে বিষয়গুলো নিয়ে কথা বলেছি।

নানিয়ারচর-লংগদু উপজেলা সড়ক যোগাযোগের ব্যাপারে উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা বলেন, যোগাযোগ এ দেশের অন্যতম মাধ্যম। এটা হবেই। রামগড়-খাগড়াছড়ি, খাগড়াছড়ি-মানিকছড়ি,মানিকছড়ি-বেতবুনিয়াফোরলেইন হবে। আমি অলরেডি দরখাস্ত জমা দিয়েছি। অনেকে বিশ্ববিদ্যালয়, মেডিকেল কলেজ চাইনি কিন্তু বন্ধ করতে পেরেছে।

এসময় রাঙ্গামাটি জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান কৃষিবিদ কাজল তালুকদার, রাঙামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মো. আতিয়ার রহমান, রাঙামাটি জেলা পরিষদের মূখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা খন্দকার মুহাম্মদ রিজাউল করিম, জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হাবিবুল্লাহ, পুলিশ সুপার ড. এস এস ফরহাদ হোসেন, রাঙামাটি সদর জোন কমান্ডার এরশাদ চৌধুরী, জেলা বিএনপির সভাপতি, সাধারণ সম্পাদ, জেলা জামায়াতের আমির, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র নেতৃবৃন্দ এবং প্রশাসনের উর্দ্ধতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ্য, তৎকালীন ২০০২ সালে জেলা শহরের সুখী নীলগঞ্জ এলাকায় রাঙামাটিবাসীর বিনোদনের জন্য জেলা পরিষদের অধীনে ৩০একর জায়গায় একটি মিনি চিড়িয়াখানা এবং একটি বোটানিক্যাল গার্ডেন নির্মাণ করা হয়েছিলো। তবে জেলা পরিষদের কর্তৃপক্ষের অযত্ন, অবহেলায় চিড়িয়াখানাটি ধ্বংস হয়ে গেছে।

চলতি বছরের ০৪ ফেব্রুয়ারী বন্যপ্রাণী ও জীববৈচিত্র সংরক্ষণ কর্মকর্তারা সুখী নীলগঞ্জের মিনি চিড়িয়াখানায় এসে স্থানীয় বনবিভাগের সহায়তায় ১৯টি প্রাণী চিড়িয়াখানা থেকে নিয়ে যায়। এরপর চিড়িয়াখানটি খালি হয়ে পড়ে।

Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *


Notice: Trying to access array offset on value of type bool in /home/parbatta/public_html/wp-content/themes/artheme/ar_framework/functions_custom.php on line 255
আরও পড়ুন