রাজনৈতিক দুর্বৃত্তপনার কারণেই বৌদ্ধ বিহারে হামলার বিচার হয়নি
২৯ সেপ্টেম্বর রামু সহিংসতার স্মরণে শান্তি-সম্প্রীতি সমাবেশে বক্তারা বলেছেন- রামুতে সেদিনের ঘটনায় বিশ^ব্যাপী নিন্দার ঝড় উঠলেও রাজনৈতিক দূর্বৃত্তপনার কারণে এখনো এ ঘটনার বিচার হয়নি। বিএনপি-জামায়াতসহ নীরহ লোকজনকে এসব মামলায় জড়িয়ে বছরের পর বছর হয়রানি করা হচ্ছে। অথচ ওই ঘটনায় তৎকালীন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের অসংখ্য নেতাকর্মী এ ঘটনায় জড়িত থাকার প্রমান থাকার পরও মামলায় তাদের অভিযুক্ত করা হয়নি। অনেকের নাম মামলার এজাহারে থাকলেও চার্জশিটে বাদ দেয়া হয়েছে। অনেক নীরহ লোকজনকে চার্জশিটে অর্ন্তভূক্ত করে হয়রানি করা হচ্ছে। মামলায় আসামী দেয়া ও বাদ দেয়া নিয়ে পুলিশ ও তখনকার সরকার দলের নেতারা রমরমা বাণিজ্য করেছেন। বৌদ্ধ বিহার ও বৌদ্ধ পল্লীতে নজিরবিহীন সহিংস ঘটনা নিয়েও আওয়ামী লীগ ঘৃণ্য অপরাজনীতি করেছে। তাই অবিলম্বে সুষ্ঠু তদন্ত করে এ ঘটনার সুবিচার নিশ্চিত করতে হবে। এখন সময় এসেছে রামু উপজেলার হাজার বছরের সৌহার্দ্য সম্প্রীতির বন্ধন সুদৃঢ় করে সব ধর্মের মানুষের সামাজিক সহাবস্থান নিশ্চিত করার।
২০১২ সালে ২৯ সেপ্টেম্বর রামু সহিংসতার স্মরণে রামু উপজেলার সর্বস্তুরের জনসাধারণ ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের উদ্যোগে রবিবার, ২৯ সেপ্টেম্বর দুপুরে শান্তি ও সম্প্রীতি র্যালী এবং সমাবেশের আয়োজন করা হয়। রামু চৌমুহনী স্টেশন থেকে শুরু হওয়া র্যালীটি রামু বাইপাস খালেকুজ্জামান চত্বর প্রদক্ষিণ করে রামু উপজেলা কেন্দ্রী শহীদ মিনারে সমাবেশে মিলিত হয়।
জায়েদ বিন আমানের সঞ্চালনায় সমাবেশে স্বাগত বক্তব্য রাখেন, রামু উপজেলা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের প্রতিনিধি মঈনুর রশিদ। সমাবেশে সম্মানিত অতিথির বক্তব্য রাখেন- রামু থানার অফিসার ইনচার্জ ইমন কান্তি চৌধুরী, রামু জামেয়াতুল উল উলুম মাদ্রাসার মুহতামিম মাওলানা হাফেজ শামসুল হক, রামু উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবুল বশর বাবু, রামু উপজেলা জামায়াতের নায়েবে আমীর মাওলানা মুহম্মদ রফিক, রামু উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক মেরাজ আহমেদ মাহিন চৌধুরী, রামু উপজেলা জামে মসজিদের খতিব মাওলানা নুরুল হাকিম, রামু সার্বজনীন কেন্দ্রীয় কালী মন্দিরের পুরোহিত সুবীর ব্্রাক্ষ্মন চৌধুরী বাদল, বৌদ্ধ ধর্মীয় নেতা ইউপি সদস্য বিপুল বড়ুয়া আব্বু, ইসলামিক আলোচক মূফতি আবদুল আজিজ রজবী, রামু উপজেলা মানবাধিকার কমিশনের সভাপতি হাফেজ আহমদ, সিএইচআরডিএফ এর প্রধান নির্বাহী ইলিয়াছ মিয়া ও চৌমুহনী বণিক সমবায় সমিতির সভাপতি রুহুল আমিন রকি। র্যালী ও সমাবেশে রামু উপজেলার বিভিন্ন ধর্মীয়, রাজনৈতিক, সামাজিক এবং বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।