রামুতে কলেজ ছাত্রীকে কুপিয়ে জখম, আসামি ধরা ছোঁয়ার বাইরে
কক্সবাজারের রামুতে কলেজ ছাত্রীকে কুপিয়ে আহত করার ঘটনার ২ সপ্তাহ পার হলেও এখনো জড়িতদের আটক করতে পারেনি পুলিশ। হামলাকারীরা উল্টো মামলা প্রত্যাহারের জন্য ওই কলেজ ছাত্রীর পরিবারের সদস্যদের হুমকি-ধামকি দিচ্ছে।
গত ১৩ সেপ্টেম্বর রামু উপজেলার কচ্ছপিয়া ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের ফকিন্নিরচর এলাকায় এ হামলার ঘটনা ঘটে। হামলায় গুরুতর আহত তরিকা হাসনাত ওই এলাকার কৃষক আবু ছিদ্দিকের মেয়ে এবং নাইক্ষ্যংছড়ি হাজী এমএ কালাম ডিগ্রী কলেজের মেধাবী শিক্ষার্থী।
তরিকা হাসনাতের বাবা আবু ছিদ্দিক জানিয়েছেন, বাড়ির পার্শ্ববর্তী জমি নিয়ে বিরোধের জেরে মো. ইসহাকের ছেলে মো. ইউনুচ, মো. ইসলামের ছেলে হামিদ আলম, মৃত ফরুখ আহমদের ছেলে মো. ইসহাক ও মো. ইসলামের ছেলে সিরাজুল ইসলামের নেতৃত্বে একদল সন্ত্রাসী তাকে এবং তার স্ত্রী হালেছা বেগমের উপর হামলা চালায়। এসময় হামলাকারীদের কবল থেকে রক্ষায় এগিয়ে আসা তার কলেজ পড়ুয়া মেয়ে তরিকা হাসনাতকে হত্যার উদ্দেশ্যে মাথায় দা দিয়ে কুপিয়ে আহত করে হামলাকারীরা। এ ঘটনার পর গুরুতর আহত তরিকা হাসনাতকে প্রথমে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে এবং অবস্থার অবনতি হলে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
এ ঘটনায় গত ২৩ সেপ্টেম্বর রামু থানায় ৪ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন- হামলার শিকার কলেজ ছাত্রী তরিকা হাসনাত। তবে মামলা করার ১ সপ্তাহ পার হলেও এখনো জড়িতদের আটক করতে পারেনি পুলিশ। এদিকে হামলাকারীরা মামলা তুলে নেয়ার জন্য প্রতিনিয়ত তাদের হুমকি-ধামকি দিচ্ছে ভুক্তভোগীর পরিবারকে। এ কারণে তারা পরিবার পরিজন নিয়ে চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা গর্জনিয়া পুলিশ ফাঁড়ির উপ-পরিদর্শক (এসআই) রাজেশ বড়ুয়া জানিয়েছেন, মামলার পর থেকে আসামিদের আটকের চেষ্টা চলছে এবং পুলিশ বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে তদন্ত করছে।