রামুতে ১৫০ লিটার মদ উদ্ধার

fec-image

কক্সবাজার রামুর চাকমারকুলে মাদকের আস্তানায় অভিযান চালিয়ে ১৫০ লিটার বাংলা মদ উদ্ধার করা হয়েছে।

শুক্রবার (১৫ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় চাকমারকুল ইউনিয়নের শাহমদের পাড়া এলাকায় পরিষদের সকল গ্রাম পুলিশ সদস্যদের সহযোগিতায় হাজী আবদুল জব্বারের বাগানে নির্মিত টংঘরে এ অভিযান চালানো হয়।

এসময় আস্তানায় থাকা মাদক ব্যবসায়ী ও সেবনকারীরা পালিয়ে যান। পরে টং ঘরের আদলে নির্মিত ওই আস্তানাটি পুড়িয়ে দেয় জনতা।

চাকমারকুল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম সিকদার জানিয়েছেন, সম্প্রতি ওই এলাকার বাসিন্দা শফি আলম ও এবাদুল্লাহ টংঘর বানিয়ে তাতে রমরমা মদের আসর ও বেচা-কেনা করে আসছিলো। শুক্রবার বিকালে এনিয়ে এলাকাবাসীর অভিযোগ পেয়ে তিনি পরিষদের সকল গ্রাম পুলিশ সদস্যদের নিয়ে অভিযানে যান। অভিযান চলাকালে শফি আলম ও এবাদুল্লাহ এবং মদ পানে লিপ্ত প্রায় ৩০ জন ব্যক্তি পালিয়ে যান।

চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম সিকদার আরো জানান, এসব আস্তানায় আসা লোকজন মদ ও ইয়াবা সেবন করে এলাকায় চুরি-ডাকাতিসহ নানা অপকর্ম সংগঠিত করছে। মদের আড়ালে চরছে ইয়াবা ব্যবসা ও সেবন। এখানে আসা মাদকসেবিরা এলাকার লোকজনের সর্বস্ব লুট, স্কুল-মাদ্রাসার ছাত্রীদের উত্যক্তও করে থাকে। চাকমারকুল ইউনিয়নকে মাদকমুক্ত করতে তিনি এ ধরনের অভিযান নিয়মিত চালিয়ে যাবেন। ভবিষ্যতে ইউনিয়নকে মাদকমুক্ত করতে তিনি জেলা প্রশাসন, ইউএনওসহ প্রশাসনের কর্মকর্তা এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কঠোর হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। এছাড়া সরকারি খাস জমিতে সৃজন করা উম গাছের বাগান উচ্ছেদের জন্য তিনি প্রশাসনের সুদৃষ্টি কামনা করেছেন।

এলাকাবাসীর অভিযোগ, চাকমারকুল ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় একাধিক শক্তিশালী চক্র বাংলা মদ (তারি), ইয়াবা ব্যবসায় জড়িত। তাদের মাদক ব্যবসার কারণে বর্তমানে পুরো এলাকা মাদকের স্বর্গরাজ্যে পরিনত হয়েছে। ইতিপূর্বেও চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম সিকদার এসব এলাকায় অভিযান চালিয়ে বিপুল বাংলা মদ এবং ইয়াবা উদ্ধার এবং এসব ব্যবসায় জড়িত একাধিক ব্যক্তিকে পুলিশে সোপর্দ করেছিলেন। এরই ধারাবাহিকতায় আবারো এ অভিযান পরিচালনা করায় চেয়ারম্যানসহ পরিষদের গ্রাম পুলিশ সদস্যদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন এলাকাবাসী।

ইউপি চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম সিকদারের সাহসী পদক্ষেপ এর ফলে এলাকাটি মাদকমুক্ত হবে, এমন প্রত্যাশাও ব্যক্ত করেছেন এলাকাবাসী। পাশাপাশি পুলিশ সহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীরও হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন তারা।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন