রেকর্ড জয়ে বিশ্বকাপের মূল পর্বে বাংলাদেশ

fec-image

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের মূল পর্ব নিশ্চিত করতে তিন রানের জয় লাগত বাংলাদেশের। দুর্দান্ত ব্যাটিং-বোলিং পারফরম্যান্সে পাপুয়া নিউগিনির বিপক্ষে মাহমুদউল্লাহর দল জিতল ৮৪ রানে। সাকিব আল হাসান ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের দারুণ দুটি ইনিংসের ওপর দাঁড়িয়ে ১৮১ রানের সংগ্রহ গড়া বাংলাদেশ পাপুয়া নিউগিনিকে পরে গুটিয়ে দিয়েছে ৯৭ রানে।

সাকিব আল হাসানের অলরাউন্ড নৈপূণ্যের সামনেই মূলতঃ উড়ে গেলো পাপুয়া নিউগিনি। ব্যাট হাতে ৪৬ রান করার পাশাপাশি বল হাতে তিনি নেন ৪ উইকেট। শুধু উইকেট নেয়াই নয়, সবচেয়ে কৃপণও ছিলেন তিনি। তার ৪ ওভার থেকে মাত্র ৯টি রান নিতে পেরেছে পাপুয়া নিউগিনির ব্যাটাররা।

সাকিবের ঘূর্ণির সঙ্গে পাপুয়া নিউগিনির ব্যাটসম্যানদের সামনে ত্রাস হিসেবে হাজির হন সাইফউদ্দিন, তাসকিন এবং মেহেদী হাসানরা।

১৮২ রানের বিশাল লক্ষ্য। এত বড় লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে পাপুয়া নিউগিনির ব্যাটারদের পিলে চমকে ওঠার কথা। ব্যাট করতে নেমে সেটারই প্রমাণ দিচ্ছে তারা। শুরু থেকেই সাইফউদ্দিন, তাসকিন আহমেদ এবং সাকিব আল হাসানের বোলিংয়ের সামনে রীতিমত কাঁপতে শুরু করে বিশ্বকাপে নবাগত দেশটি।

প্রথম দুটি ওভার ভালোভাবেই মোকাবেলা করেছে পিএনজির ওপেনাররা। তৃতীয় ওভারে এসে মোহাম্মদ সাইফউদ্দিনের বলে এলবিডব্লিউ হয়ে গেলেন ওপেনার লেগা সিয়াকা। ১০ বলে ৫ রান করেন তিনি।

এরপর নুরুল হাসান সোহানের দুর্দান্ত এক ক্যাচে পরিণত হলেন পিএনজি অধিনায়ক আসাদ ভালা। তাসকিনের বলটি লেগ সাইড দিয়ে বের হওয়ার মুহূর্তে ব্যাটের খোঁচা দেন। সেই বলটি ঝাঁপিয়ে পড়ে এক হাতে তালুবন্দী করেন সোহান।

এরপর সাকিবকে বোলিংয়ে নিয়ে আসেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। ওভারের প্রথম বলেই উইকেট নিলেন সাকিব। এবারও আরও একটি দুর্দান্ত ক্যাচ ধরলেন মোহাম্মদ নাইম। ২০ থেকে ২৫ গজ পেছনে গিয়ে লং অফে অসম্ভব এক ক্যাচ তালুবন্দী করেন নাইম। তাতে ফিরে যান চার্লস আমিনি।

ওই ওভারের চতুর্থ বলে আবারও উইকেট নিলেন সাকিব। এবার শেখ মেহেদী হাসানের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফিরে যান সিমন আতাই। ২ বল খেলে কোনো রানই করতে পারলেন না তিনি। ১৪ রানের মাথায় পড়লো চতুর্থ উইকেট।

পরের বলে আবারও ক্যাচ। এবার ক্যাচ তুললেন সেসে বাউ। কিন্তু তার ক্যাচটি ফেলে দেন নুরুল হাসান সোহান। ৯ম ওভারে গিয়ে আবারও উইকেট পেলেন সাকিব আল হাসান। সেই সেসে বাউকেই এবার মোহাম্মদ নাইমের হাতে ক্যাচ দিতে বাধ্য করেন সাকিব। ২১ বলে ৭ রান করে ফিরেন সেসে। ২৪ রানে পড়লো পঞ্চম উইকেট।

নিজের দ্বিতীয় ওভারের দ্বিতীয় বলেই উইকেটের দেখা পেলেন স্পিনার শেখ মেহেদী হাসান। এবার বিদায় নিলেন নরম্যান ভানুয়া। স্কোরবোর্ডে কোনো রানই যোগ করতে পারেননি তিনি। নরম্যান স্লগ খেলতে চেয়েছিলেন। কিন্তু বল উঠে যায় লং অফে। সেখানে ছিলেন মুশফিক। বল তালুবন্দী করতে কোনোই সমস্যা হয়নি।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন