লামায় আবুল খায়ের টোব্যাকোর ১ কোটি ৭২ লক্ষ টাকা লুট


বান্দরবানের লামা উপজেলা সদরের লাইনঝিরিতে অবস্থিত আবুল খায়ের টোব্যাকো কোম্পানী লিঃ এর অফিসে সশস্ত্র ডাকাতি সংঘটিত হয়েছে। এই সময় সশস্ত্র ডাকাত দল অস্ত্রের মুখে হিসাব রক্ষকসহ অন্যদের জিম্মি করে ১ কোটি ৭২ লক্ষ ৭৫ হাজার টাকা লুট করে নিয়ে যায়।
শুক্রবার ভোরে এই ডাকাতির ঘটনা সংঘটিত হয়েছে বলে জানা গেছে। ডাকাতের হামলায় হিসাব রক্ষক মোঃ জহিরুল ইসলাম গুরুতর আহত হয়েছেন।
ঘটনার খবর পেয়ে র্যাব-১৫ এর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবুল কালাম আজাদ, সহকারী পুলিশ সুপার লামা সার্কেল মোঃ আনোয়ার হোসেন, লামা থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ তোফাজ্জল হোসেন সহ আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর উধ্বর্তন কর্মকর্তাগণ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
আবুল খায়ের টোব্যাকো কোম্পানীর ক্লাসিফিকেশন কর্মী শরীফ উদ্দিন ফরাজী ও সাইমন হোসেন জানান, ভোর রাতে মুখোশধারী সশস্ত্র ১৭-২০ জনের একটি ডাকাত দল তাদেরকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে ফেলে।
ডাকাত দল দুই ভাবে বিভক্ত হয়ে ১০-১২ জনের একটি দল রুমের মধ্যে থাকা ৭ জনকে গামছা দিয়ে চোখ-মুখ বেঁধে ফেলে। একপর্যায়ে তারা হিসাব রক্ষক জহিরুল ইসলাম কে বেধম মারধর করে। শরীফ উদ্দিন ফরাজী আরও জানান, ডাকাতদল তাদের কাছে জানতে চায় বৃহস্পতিবার ব্যাংক থেকে উত্তোলিত ১ কোটি ১০ লক্ষ টাকা কোথায় রেখেছো।
৭-৮ জনের আরেকটি দল পাশের লেবার সাইডে ঘুমানো ২০ জন শ্রমিককে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে রাখে।
আবুল খায়ের টোব্যাকো কোম্পানির লামা জোন ইনচার্জ আব্দুর রব জানান, তামাক চাষীদের কাছ থেকে তামাক পাতা ক্রয় করে তাদেরকে নগদ টাকা প্রদান করা হয়। বৃহস্পতিবার তামাক ক্রয় শেষে তাদের ক্যাশে ৫ কোটি ৫১ লক্ষ টাকা ছিল। ডাকাতদল আলমারিতে থাকা ১ কোটি ৭২ লক্ষ ৭৫ হাজার টাকা নিয়ে যায়।
ভোল্টে রক্ষিত ৩ কোটি ৮০ লক্ষ টাকা নেওয়ার জন্য চেষ্টা করলে ভোল্ট লক হয়ে যায়। এই কারণে ভোল্টের টাকা অক্ষত রয়েছে। র্যাব ও পুলিশ এর উপস্থিতিতে দিনভর চেষ্টা করে সন্ধ্যায় ভোল্ট ভাঙ্গা হয়। শুক্র, শনি ও রবিবার ব্যাংক বন্ধ থাকায় চাষীদের টাকা প্রদানের স্বার্থে নগদ টাকা রাখা হয়েছে বলে তিনি দাবী করেন।
লামা থানা অফিসার ইনচার্জ মোঃ তোফাজ্জ্বল হোসেন জানিয়েছেন, ডাকাতির ঘটনায় ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। আলামত জব্দ করা হয়েছে। লুট হওয়া টাকা উদ্ধার ও ডাকাতদের গ্রেফতারে পুলিশদল মাঠে নেমেছে। এত বিপুল পরিমাণ নগদ টাকা অফিসে রাখা কোন ভাবেই ঠিক হয়নি।