শুধু শহরমুখী নয়, পুরো জেলায় উন্নয়ন নিয়ে যা বললেন পার্বত্য উপদেষ্টা


উন্নয়ন শুধু শহরমুখী নয়, পুরো জেলায় দৃশ্যমান হতে বলে মন্তব্য করেছেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা।
শুক্রবার (২৩ মে) রাঙামাটি জেলা পরিষদের মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয় আয়োজিত অভিযোগ প্রতিকার ব্যবস্থা (জিআরএস) বিষয়ে দক্ষতা বৃদ্ধি সংক্রান্ত দিনব্যাপী কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
পার্বত্য উপদেষ্টা বলেন, নিজেদের ব্যক্তিগত শান্তির চেয়ে এক হাজার কৃষক পরিবারকে দারিদ্রমুক্ত করার যে সুখ, সেটা উপভোগ করতে হবে।
উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা আরও বলেন, বিগত আমলে যে পরিমাণ বরাদ্দ তিন পার্বত্য জেলায় দেওয়া হয়েছিল তার সিকি ভাগও যদি বাস্তবায়ন হতো তাহলে পার্বত্য চট্টগ্রামের মানুষ গরিব থাকার কথা নয়। উন্নয়ন কাজ কোথায় কী হচ্ছে বা কী পরিমাণ বাস্তবায়িত হলো তার সুষ্ঠু মনিটরিং ব্যবস্থা নিশ্চিত করার জন্য সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেন উপদেষ্টা।
পার্বত্য চট্টগ্রামে কোয়ালিটি এডুকেশন নিশ্চিত করতে চাই উল্লেখ করে উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা বলেন, একসময় পার্বত্য জনগোষ্ঠী কোটা সুবিধা পেত, যারা কোটা সুবিধা পেয়েছেন তারা ভাগ্যবান। কিন্তু এখন কোটার সুযোগ নেই। দেশের মূলধারার সাথে প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে হলে কোয়ালিটি শিক্ষা গ্রহণ করা প্রয়োজন।
পার্বত্য চট্টগ্রামের উন্নয়নে লাইভলিহুড ডেভেলপমেন্ট নিশ্চিত করা হবে। একই সাথে নারীদের আত্মকর্মসংস্থানের লক্ষ্যে নারী উদ্যোক্তাদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানান তিনি।
কর্মশালায় পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. আব্দুল খালেক সিটিজেন চাটার ও জাতীয় শুদ্ধাচার কৌশল, অভিযোগ, প্রতিকার ব্যবস্থাপনা, তথ্য অধিকার, বার্ষিক কর্ম সম্পাদন চুক্তি সম্পর্কে আলোকপাত করেন।
পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. মনিরুল ইসলামের সভাপতিত্বে এসময় যুগ্ম সচিব কঙ্কন চাকমা, যুগ্ম সচিব অতুল সরকার, রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা খোন্দকার মোহাম্মদ রিজাউল করিম উপস্থিত ছিলেন।
শনিবার (২৪ মে) এসডিজি স্থানীয়করণ, অভিযোগ প্রতিকার ব্যবস্থাপনার উদ্দেশ্য ও অধিক্ষেত্র সংক্রান্ত উপস্থাপনার তাত্ত্বিক আলোচনা ও জিআরএস সফটওয়্যার এর উপর সম্যক ধারণাসহ প্রায়োগিক কর্মশালের মাধ্যমে কর্মসভার সমাপনী অনুষ্ঠিত হবে।