সেনাবাহিনীর সহায়তায় সাজেক থেকে ফিরেছে ১৪’শ পর্যটক, জানালেন অভিজ্ঞতার কথা
৭২ ঘণ্টারও বেশি সময় আটকা থাকার পর সাজেক পর্যটন কেন্দ্র থেকে ফিরছেন প্রায় ১৪শ পর্যটক।
মঙ্গলবার (২৪ সেপ্টেম্বর) সকাল ৭টার দিকে বাঘাইহাট সেনা জোনের সহায়তায় সকাল ১০টার দিকে খাগড়াছড়ি শহরে এসে পৌছেন পর্যটকরা।
এ সময় পর্যটকদের উল্লাস প্রকাশ করতে দেখা যায়। এ দিকে ৭২ ঘণ্টার সড়ক অবরোধ কর্মসূচি শেষে খাগড়াছড়িতে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক হয়েছে। হাট-বাজারগুলোতে পাহাড়ি-বাঙালির উপস্থিতি আগের মতো।
জানা গেছে, ৭২ ঘণ্টা অবরোধ চলাকালে পাহাড়ি ছাত্র ও স্থানীয় লোকজন মিলে ২১ সেপ্টেম্বর থেকে বাঘাইহাট-সাজেক সড়কের বিভিন্ন স্থানে সড়কে গাছ, বৈদ্যুতিক খুঁটি, সড়কে ট্রাক রেখে এবং টায়ার পুড়িয়ে রাস্তা চলাচলের অনুপযোগী করে তোলে। সেনাবাহিনীর ও স্থানীয়দের প্রচেষ্টায় ২৩ সেপ্টেম্বর রাত ও ২৪ সেপ্টেম্বর সকালে রাস্তা যানবাহন চলাচলে উপযোগী করা হয়। পর্যটকদের গন্তব্যে পৌছে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
এর মধ্যে আটকে পড়া প্রায় অর্ধ শতাধিক পর্যটক নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় প্রাইভেট হেলিকপ্টার যোগে আকাশ পথে সাজেক ছেড়ে যান।
খাগড়াছড়ি ফিরে পর্যটকরা আটকে থাকা অবস্থায় তাদের অভিজ্ঞতার কথা জানিয়ে বলেন, অবরোধের কারণে সাজেকে পানি ও খাবারের সংকট দেখা দেয়। গুজবের কারণে পর্যটকদের মাঝে ভয় ও আতঙ্ক ছিল। তবে সেনাবাহিনী, বিজিবি ও স্থানীয়দের আন্তরিক সহযোগিতা ছিল। এর জন্য পর্যটকরা সেনাবাহিনীসহ সকলের কৃতজ্ঞকতা জানিয়েছেন। পর্যটকরা ফেরার পথে সড়কের বিভিন্ন স্থানে নিরাপত্তা বাহিনীর কড়া প্রহরা ছিল।
উল্লেখ, বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) সকাল ৭টার দিকে মোটরসাইকেল খাগড়াছড়ি জেলা সদরে ফার্নিচার ব্যবসায়ী মো. মামুনকে মোটরসাইকেল চুরির অভিযোগে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। এ ঘটনার জেরে সহিংসতায় ছড়িয়ে পড়ে। দীঘিনালায় অর্ধশতাধিক দোকানপাটে আগুন, স্বণির্ভরে সেনাবাহিনীর উপর গুলি বর্ষনের ঘটনায়। সহিংসতার ধারাবাহিকতায় খাগড়াছড়িতে ৩ জন ও রাঙামাটি একজনসহ ৪ জন নিহত হয়।
এ ঘটনা ঢাকার একটি সমাবেশ থেকে পাহাড়িরা শনিবার থেকে তিন পার্বত্য জেলায় ৭২ ঘণ্টার সড়ক ও নৌ পথ অবরোধের ডাক দেয়। কর্মসূচির প্রতি সমর্থন জানিয়ে অবরোধ পালনের ঘোষণা দেন আঞ্চলিক সংগঠন ইউনাইটেড পিপলস্ ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ)।