“নির্মাণের ৫৫বছর পরেও এ ভবনটি মেরামত কিংবা সংস্কার করা হয়নি”

৫৫ বছরেও সংস্কার হয়নি বরকলের খাদ্য নিয়ন্ত্রকের ভবন

fec-image

রাঙ্গামাটির বরকল উপজেলার খাদ্য নিয়ন্ত্রকের ভবন দীর্ঘ ৫৫ বছরেও সংস্কার হয়নি। ভবনটি খুবই জরাজীর্ণ হওয়ায় যে কোন মূহুর্তে ধসে অনাকাঙ্খিত ঘটনা ঘটতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন স্থানীয় ও খাদ্য নিয়ন্ত্রকের কর্মরত কর্মচারীরা।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ১৯৬৪ সালে বরকল উপজেলার খাদ্য নিয়ন্ত্রকের একতলা পাকা ভবনটি নির্মিত হয়। নির্মাণের ৫৫বছর পরেও এ ভবনটি মেরামত কিংবা সংস্কার করা হয়নি। বর্তমানে ভবনটির দেয়াল গুলোর চারপাশে অসংখ্য ফাটল সৃষ্টি হয়ে দেয়ালের রং ও পলেস্তরা খসে খসে পড়ছে এবং নানা রকমের ঘাস ও ছত্রাকে আক্রান্ত হয়ে ধূসর কালো বর্ণের রঙে ধারণ করেছে। এটি আদিম যুগের বাস ঘর নাকি সরকারি ভবন, তা চেনার উপায় নেই। কাছে গিয়ে জরাজীর্ণ ভবনের দেয়ালে ঝাপসা লেখায় ঝুলানো সাইন বোর্ড পড়লে জানা যায় এটি একটি সরকারের গুরুত্বপূর্ণ দপ্তর।

এদিকে খাদ্য নিয়ন্ত্রকের অফিসের কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা জানান, অফিস ভবনে দাপ্তরিক কর্মকাণ্ড যেমন করার পরিবেশ নেই তেমনি থাকার ও কোন ব্যবস্থা না থাকায় চরম বিপাকে পড়েছে খাদ্য বিভাগের কর্মকর্তা কর্মচারীরা। যার কারণে উপজেলা খাদ্য বিভাগের দু’জন নৈশ প্রহরী পদের কর্মচারী কর্মস্থলে উপস্থিত থাকলেও বাকী কর্মকর্তা কর্মচারীরা মাসে দু একবার কর্মস্থলে আসেন। বাকী দিন গুলো জেলা সদরে বসে দাপ্তরিক কর্মকাণ্ডের কাজ গুলো চালিয়ে যান।

এ ব্যাপারে খাদ্য বিভাগের উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মন্টু মনি চাকমা বলেন, ১৯৬৪ সালে খাদ্য বিভাগের অফিস ভবনটি নির্মাণ করা হয়। দীর্ঘ ৫৫বছরেও এ অফিস ভবনটি সংস্কার কিংবা পূনঃ নির্মাণের উদ্যোগ নেয়নি সংশ্লিষ্ট খাদ্য বিভাগ। ফলে জরাজীর্ণ অফিস ভবনটি যেন আদিম যুগের বাস ঘরে পরিণত হয়েছে। এতে অফিসে বসে যেমনি কাজ করা যাচ্ছেনা তেমনি থাকার ও ব্যবস্থা নেই। রাঙ্গামাটি জেলা সদর থেকে উপজেলা সদরে এসে কাজ সেরে আবার বাড়িতে ফিরতে হয়। এতে কর্মকর্তা কর্মচারীদের আর্থিক মানসিক ও শারীরিক ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে বলেও তিনি জানান।

এ বিষয়ে রাঙ্গামাটি জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক সুমাইয়া নাজনীন বলেন, বরকল খাদ্য বিভাগের অফিস ভবনটি সহ জেলার আরও কয়েকটি খাদ্য অফিসের করুণ অবস্থার কথা লিখিত ভাবে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে জানানো হয়েছে। এ ছাড়াও প্রতিমাসে জেলার সমন্বয় সভায় বার বার উত্থাপন করা হলেও কোন বরাদ্দ না আসায় নতুন করে ভবন নির্মাণ করা যাচ্ছেনা।

তিনি আরও বলেন, খাদ্য বিভাগের ভবন এলজিইডি, গণপূর্ত বিভাগ সহ অন্য কোন সরকারি দপ্তর থেকে নির্মাণ করার কোন সুযোগ নেই। শুধু মাত্র সংশ্লিষ্ট খাদ্য বিভাগের পরিদর্শন উন্নয়ন ও পরীক্ষণ প্রকল্পের আওতায় সংশ্লিষ্ট খাদ্য বিভাগের উন্নয়ন কাজ করা হয়। বর্তমানে এ প্রকল্পের আওতায় অন্যান্য বিভাগে কাজ চলছে। চট্টগ্রাম বিভাগের জন্য বরাদ্দ আসলে রাঙ্গামাটি জেলার জরাজীর্ণ ভবন গুলোর কাজ করা হবে বলে তিনি জানান।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন