অবৈধ দখলে ইনানী সি-বিচ, পর্যটকদের বিড়ম্বনা

Pic (1) ukhiya-27-03-2017 copy

উখিয়া প্রতিনিধি:

অবৈধ জবরদখলকারীদের বেপরোয়া ঝুপড়ি দোকান তৈরি করে পসরা সাজিয়েছে ইনানী সি-বিচে। কতিপয় প্রভাবশালী মহলের ইন্ধনে প্রবেশ পথে অসংখ্য দোকানঘর বসানোর কারণে ইনানী বিচে বেড়াতে আসা দেশী-বিদেশী পর্যটকরা নানা বিড়ম্বনা ও হয়রানীর শিকার হচ্ছে। সচেতন নাগরিক সমাজের অভিযোগ জেলা বিচ ম্যানেজমেন্ট কমিটির দায়িত্বহীনতার কারণে বালুকাময় এ বিচটি দিন দিন সৌন্দর্য হারাতে বসেছে।

কক্সবাজারের অন্যতম বিচ হচ্ছে ইনানী সি-বিচ। সবুজ ঘেরা পাহাড় বেষ্টিত নীল জলরাশী পাথরের বিচ নামে পরিচিত। কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ সড়ক দিয়ে প্রতিদিন হাজার হাজার দেশী-বিদেশী পর্যটক ভ্রমন করতে আসে ইনানী বিচে।

উখিয়া জাতীয় পাটির সভাপতি অধ্যাপক নুরুল আমিন সিকদার ভূট্টো অভিযোগ করে বলেন, ইনানী বিচের প্রবেশ পথে অসংখ্য ঝুপড়ি দোকান বসানোর কারণে ভ্রমন করতে আসা পর্যটকদের সীমাহীন বিড়ম্বনার শিকার হতে হচ্ছে। বলতে গেলে ডাব ও চশমা বিক্রেতা প্রবেশ পথের মধ্যখানে ব্যবসা শুরু করেছে যা অন্তত্য দুঃখজনক।

সরেজমিন পরিদর্শণে দেখা যায়, প্রায় শতাধিক অবৈধ ঝুপড়ি দোকান তৈরি করে ইনানী সি-বিচটি জবরদখল করে রেখেছে। গাড়ি নিয়ে বেড়াতে আসা পর্যটকদের কোন পার্কিং ব্যবস্থা নেই। অভিযোগে প্রকাশ ট্যুরিস্ট পুলিশকে দৈনিক মাসোহারা দিয়ে এ সব ঝুপড়ি দোকানে ব্যবসা চালিয়ে আসছে।

Pic ukhiya-27-03-2017 copy

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায় চলতি অর্থ বছরে প্রায় ১২ লক্ষ টাকায় ইজারা দিয়ে ইনানী বিচ থেকে সরকার রাজস্ব আদায় করলেও একটি টাকাও উন্নয়ন খাতে ব্যয় করেনি। ফলে বেড়াতে আসা পর্যটকদের গাড়ির পার্কিংসহ ইনানী বিচে প্রবেশ পথ দিয়ে সাগরে যাওয়া বড়ই মুশকিল।

ঢাকা গুলশানের বসবাসরত দম্পতি কাজী মঈনুল রহমান ও সানরা পার্বত্যনিউজকে জানান, ইনানী বিচটি দেখতে খুবই সুন্দর। কিন্তু অব্যবস্থাপনা, প্রবেশ পথে ঝুপড়ি দোকান ও গাড়ির কোন  পার্কিং ব্যবস্থা না থাকায় পর্যটকদের দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।

সুশীল সমাজের অভিমত ইনানী বিচের সৌন্দর্য রক্ষার্থে অবিলম্বে প্রবেশ পথে বসানো অবৈধ দোকান উচ্ছেদ জরুরী হয়ে পড়েছে।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন