আইয়ুব বাচ্চুর গিটার ও হ্যাটের আদলে পূজা মণ্ডপ

fec-image

রাজশাহী নগরীর রানীবাজার এলাকার টাইগার সংঘের পূজা মণ্ডপে সংগীতের লিজেন্ড আইয়ুব বাচ্চুর গিটার ও হ্যাটের আদলে প্যান্ডেল তৈরি করা হয়েছে।  প্রত্যেক বছর এখানে নতুন বিষয় তুলে ধরে প্যান্ডেল সাজানো হয়। এবার আইয়ুব বাচ্চু স্মরণে এমন মণ্ডপ করা হলো।

গিটারের মাঝে হ্যাটের উচ্চতা ১০ ফিট ও চওড়া ২৬ ফিট। আর গিটারের দৈর্ঘ্য ৫৪ ফিট এবং প্রস্থ ১৯ ফিট। ধর্মবর্ণ সব শ্রেণিপেশার মানুষদের দৃষ্টি আকর্ষণ করছে বিভিন্ন আলোকসজ্জায় সাজানো টাইগার সংঘের এই মণ্ডপ।

জানা গেছে, টাইগার সংঘ ৩৮ বছর ধরে নগরীর রানীবাজার এলাকার পূজা করে আসছে। কয়েক বছর এই সংঘটি মণ্ডপে বৈচিত্র্য নিয়ে আসার চেষ্টা করে চলেছেন। ২০১৬ সালে ক্রিকেটে বাংলাদেশের উল্লেখযোগ্য অবদানকে স্মরণ করে বাঘের মুখের আদলে সাজিয়েছিল প্যান্ডেল তারা। ২০১৭ সালে ভারতীয় ‘বাহুবলী’ সিনেমার পোস্টারের আদলে সাজানো হয়েছিল। আর গতবার ২০১৮ সালে সাজানো হয়েছিল বাংলাদেশের সব থেকে বড় অর্জন বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ এর আদলে। আর এবার আইয়ুব বাচ্চুর স্বরণেই তার হ্যাট ও গিটারের আদলে পূজা মণ্ডপ তৈরি করা হয়েছে।

টাইগার সংঘের সাধারণ সম্পাদক পার্থ পাল চৌধুরী বলেন, ‘নগরীর অন্যতম পূজা মণ্ডপটি আমাদের এই টাইগার সংঘের। প্রতিবারের মতো এবারও ভিন্ন কিছু বিষয় মাথায় রেখে এই মণ্ডপের কাজ করা হয়েছে। পূজার প্রথম দিন থেকেই অনেক মানুষ এসে গিটার ও হ্যাটটি দেখছেন। দূর-দূরান্ত থেকেও অনেকে এসে মণ্ডপটি দেখে যাচ্ছেন। এই মণ্ডপ তৈরিতে প্রায় ৫ লাখ টাকা ব্যয় হয়েছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘এই মণ্ডপের কাজ শেষ করতে এক মাস সময় লেগেছে। মাঝে মাঝে ঝড়-বৃষ্টি হওয়ায় সমস্যা হয়েছে। তবে সব কিছু কাটিয়ে সুন্দরভাবে তৈরি করা হয়েছে মণ্ডপটি। মূলত আইয়ুব বাচ্চুর স্মরণেই এই গিটারটি মণ্ডপে তুলে ধলা হয়েছে।

এদিকে সপ্তমীর দিন থেকেই ব্যাপক মানুষের ভিড় লক্ষ্য করা গেছে এই মণ্ডপে। বাচ্চু ভক্তরা একবারের জন্যে হলেও এই গিটার ও হ্যাটটি দেখে যাচ্ছেন। নিজেদের ফোনে সেলফিবন্দি করছেন। পরিবার পরিজন নিয়ে অনেকে গ্রুপ ফটো তুলছেন।

শুক্রবার (৪ অক্টোবর) থেকে শুরু হয়েছে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় উৎসব শারদীয় দুর্গা পূজা। একদিকে যেমন প্রতিমাতে নান্দনিকতা দেখা যাচ্ছে তেমনি বৈচিত্র্য দেখা যাচ্ছে মণ্ডপগুলোর সাজসজ্জাতেও। প্রতিটি মণ্ডপের সামনেই তৈরি করা হচ্ছে দৃষ্টিনন্দন তোরণ। মণ্ডপলোকে সুন্দর করে সাজাতে চলছে এক রকম প্রতিযোগিতা।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন