আরাকান আর্মির বিরুদ্ধে বিমান হামলার পরিকল্পনা মিয়ানমার সেনাবাহিনীর

fec-image

মিয়ানমার সেনাবাহিনীর হেলিকপ্টার মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীর মুখপাত্র ব্রিগেডিয়ার জেনারেল জাউ মিন তুন দাবি করেছেন যে, আরাকান আর্মি (এএ) বেসামরিক ছদ্মবেশে হামলা করছে এবং তাদের পরাস্ত করার জন্য সামরিক বাহিনীকে হেলিকপ্টার ব্যবহার করতে হচ্ছে।

ব্রিগেডিয়ার জেনারেল জাউ মিন তুন দ্য ইরাবতীকে বলেন, “[এএ]’র বাস্তব পরিস্থিতি সম্পর্কে ব্যাপক তথ্য রয়েছে। তারা যখন লড়াই করে, তারা ইউনিফর্ম বাদ দিয়ে সাদা পোষাকে আসছে। আমরা যদি তাৎক্ষণিক তাদের প্রতিহত করতে না পারি, তাহলে তারা গ্রামে ফিরে গিয়ে গ্রামবাসী সেজে থাকছে। তাদেরকে দ্রুত ধ্বংস করার একমাত্র উপায় হলো হেলিকপ্টার ব্যবহার করা”।

উত্তরাঞ্চলীয় রাখাইন রাজ্যে লড়াই তীব্র হয়েছে এবং বুধবার ম্রাউক-উ এবং মিনবিয়া টাউনশিপে অন্তত চার ঘন্টা ধরে লড়াই হয়েছে বলে জানা গেছে। সংঘর্ষে উভয় পক্ষের লোকজনই হতাহত হয়েছে।

তিনি বলেন, “পান মিয়াউং গ্রামের কাছে লড়াইয়ে আমাদের অনেকে আহত হয়েছে। ২৬ নভেম্বর পান মিয়াউংয়ের কাছেও লড়াই হয়েছে। কিয়াউকতাউয়ে মাহা মুনি প্যাগোডার কাছে মাইন হামলা হয়েছে বলেও জানা গেছে”।

অধিবাসীদের মতে, বুধবার ম্রাউক-উ টাউনশিপে কিয়াউং তাউং গ্রামে হেলিকপ্টার নিয়ে হামলা চালায় তাতমাদাও (সামরিক বাহিনী)। আহত এক গ্রামবাসী ম্রাউক-উ হাসপাতালে চিকিৎসা নেয়ার সময় মারা যায়। গ্রামবাসীরা তাদের ঘরবাড়ি থেকে পালিয়ে গেছে।

রাজ্যের পার্লামেন্ট সদস্য উ তুন থা সিন ম্রাউক-উ এলাকার প্রতিনিধিত্ব করেন। তিনি বলেছেন, সঙ্ঘাতের মাত্রা বেড়ে গেছে এবং আরও বেশি সংখ্যক মানুষকে তাদের ঘরবাড়ি থেকে পালাতে বাধ্য করা হচ্ছে।

উ তুন থা সিন দ্য ইরাবতীকে বলেন, “ম্রাউক-উ এলাকায় সঙ্ঘাতের শিকার মানুষের সংখ্যা বেড়েছে। গ্রামবাসীরা মাঠে যাওয়ার সাহস করছে না। মর্টার শেলের আঘাত কিছু বাড়ির ক্ষতি হয়েছে। শিশুরা স্কুলে যেতে পারছে না”।

এদিকে, রোগি আর গর্ভবতী নারীদের হাসপাতালে যাওয়া নিয়েও সমস্যায় পড়তে হচ্ছে।

রাখাইন এথনিক কংগ্রেসের (আরইসি) তথ্য মতে, ২০১৮ সালের নভেম্বর থেকে উত্তর রাখাইন রাজ্যে ৮০ হাজারেরও বেশি মানুষ ঘরবাড়ি হারা হয়েছে।

এর আগে, মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী আরাকান আর্মির উপরে হামলার জন্য জঙ্গি বিমান ও হেলিকপ্টার ব্যবহার করেছে বলে জানা গেছে। কিয়াউকতাউ টাউনশিপে মার্চে ওই হামলা এক সপ্তাহেরও বেশি সময় স্থায়ী হয়েছিল।

সূত্র: সাউথ এশিয়ান মনিটর

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন