ইনানী পুলিশ ফাঁড়ির আইসি’র বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার ও জনগনকে হয়রানির অভিযোগ

অভিযোগ

উখিয়া প্রতিনিধি:

উখিয়ার ইনানী পুলিশ ফাঁড়ির আইসির বিরুদ্ধে নানা অনিয়ম দুর্নীতি ও উঁৎকোচ বাণিজ্যের গুরুতর অভিযোগ উঠেছে। ইয়াবা ব্যবসায়ী সিন্ডিকেটের সাথে সখ্যতা, দালাল ও চোরকারবারীদের আড্ডা খানায় পরিণত হয়েছে।

বিশেষ করে আইসি এসআই আরিফুল ইসলামের ক্ষমতার অপব্যবহার মিথ্যা মামলার হুমকি, গ্রেফতার ও পুলিশের ভয় দেখিয়ে টাকা আদায় নিয়ে সমুদ্র উপকূলীয় হাজার হাজার লোক জিম্মি হয়ে পড়েছে বলে অভিযোগে জানা যায়। এ ঘটনায় খোদ ক্ষমতাসীন দল আওয়ামীলীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতৃবৃন্দরা ক্ষোভ ও গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে আইসির বিরুদ্ধে তদন্ত দাবী জানিয়েছেন।

এলাকাবাসীর সাথে কথা বলে জানা যায়, ইনানী পুলিশ ফাঁড়িতে আইসি হিসেবে আরিফুল ইসলাম যোগদান করার পর থেকে তার বেপরোয়া দৌরাত্ব বেড়ে যায়। তার বিরুদ্ধে ইয়াবা পাচার সিন্ডিকেট ও দালালদের সাথে দহরম মহরম সম্পর্কের অভিযোগ রয়েছে। শুধু তাই নয়, মিথ্যা মামলার হুমকি দিয়ে অনেক নিরীহ লোক থেকে মোটা অংকের টাকাও আদায় করছে করারও অভিযোগ রয়েছে। দাবী আদায় পূরণ করতে ব্যর্থ হলে তাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়ে গ্রেফতার করা হয়।

অভিযোগ আছে, জালিয়াপালং ৮নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি আবুল কাশেমকে হয়রানি মূলক মামলা দিয়ে  অভিযোগে প্রকাশ উখিয়া যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক কামাল হোসেন দুর্জয় কে একটি ষড়যন্ত্রমূলক মিথ্যা মামলা দিয়ে এলাকা ছাড়া করেছে। কামাল হোসেন অভিযোগ করে বলেন, পুলিশের বিভিন্ন অনিয়ম ও নিরীহ জনগণকে হয়রানি করার প্রতিবাদ করতে গিয়ে আইসি আরিফ ক্ষুদ্ধ হয়ে তাকে ইয়াবা সংক্রান্ত একটি মামলায় আসামী করে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গত ১০ সেপ্টেম্বর ইনানীতে ইয়াবা পাচার ও লুটপাট করতে গিয়ে ৩ জন নিহতের ঘটনায় বিভিন্ন জনকে আসামী করার হুমকি দিয়ে ব্যাপক হারে উঁৎকোচ বাণিজ্যে জড়িয়ে পড়েছে ইনানী পুলিশ ফাঁড়ির আইসি।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে জালিয়াপালং ইউনিয়ন যুবলীগের আহ্বায়ক ফজলুল কাদের বলেন, আইসি তাকে গভীর রাতে ফোন করে বলেন, বেশী বাড়াবাড়ি করলে তোমাকেও মামলা দিয়ে জেলে পাঠানো হবে।

এ প্রসঙ্গে উখিয়া উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি অধ্যক্ষ হামিদুল হক চৌধুরী বলেন, ইনানী পুলিশ ফাঁড়ির আইসি’র বেপরোয়া দৌরাত্ব ও নিরহ মানুষকে নানা রকম ভয়ভীতি দেখিয়ে হুমকি দেওয়ার ঘটনা খুবই দু:খজনক। তিনি বিষয়টি উখিয়া থানার অফিসার ইনচার্জকে টেলিফোনে অবহিত করলে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করবে বলে আশ্বস্ত করেন।

আইসি আরিফুল ইতিমধ্যে জালিয়াপালং ইউনিয়ন যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক আবদুল মুবিন জালিয়াপালং ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি সাবেক চেয়ারম্যান ছৈয়দ আলম ক্ষুদ্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে জানান, ইনানী পুলিশ ফাঁড়ির আইসির ক্ষমতার অপব্যবহার ও ব্যাপক হারে মানুষকে হয়রানি ও নির্যাতন করে যাচ্ছে। বলতে গেলে তার নিকট পুরো এলাকাবাসী জিম্মি হয়ে পড়েছে।

এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে, উখিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ আবুল খায়ের বলেন, বিষয়টি আমি নিবিড়ভাবে তদন্ত করব। আইসি আরিফুল ইসলামের অনিয়ম ও জনগণকে হুমকি ধমকির ঘটনা প্রমাণ পাওয়া গেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন