ইলিশের দামে বিক্রেতাদের সন্তুষ্টি

fec-image

দীর্ঘ ৬৫ দিন সাগরে মাছ ধরা নিষেধাজ্ঞা ৩০ জুলাই ওঠে গিয়েছে। এরপর থেকে আবারো সরগরম কক্সবাজার ফিশারীঘাট মৎস্য অবতরণকেন্দ্র। মাসের শুরু থেকে বৈরী আবহাওয়ার কারণে সাগরে মাছ ধরতে যেতে পারেনি জেলেরা। কয়েকদিন ধরে পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হওয়ার পর থেকে মাছ ধারার ট্রলারগুলো যাচ্ছে সাগরে। ইতোমধ্যে বেশ কয়েকটি মাছ ধরার ট্রলার কূলে ভিড়েছে। আসছে ইলিশসহ বিভিন্ন প্রজাতির সামুদ্রিক মাছ।

তবে স্থানীয়দের অভিযোগ, যেসব ইলিশ আসছে তা স্থানীয় বাজারে মিলছে না। অধিক দামে জেলার বাইরে বিক্রি করে দিচ্ছে পাইকাররা। খুচরা বাজারে যেসব ইলিশ বিক্রি হচ্ছে তা অতি চড়া। সাধারণ ক্রেতাদের নাগালের বাইরে। এক কেজি ওজনের ইলিশ ১২-১৪শ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ছোট সাইজের ইলিশের কেজিও হাজারের মতো।

সোমবার (৯ আগস্ট) সকালে ফিশারীঘাট মৎস্য অবতরণকেন্দ্রে আগ্রহভরে ইলিশ মাছ কিনতে গিয়েছিলেন ইকরাম চৌধুরী টিপু ও মাইনউদ্দিন মুহাম্মদ শাহেদ। সকাল ৮টায় তারা বাজারে পৌঁছেন। প্রায় ১১টা পর্যন্ত ছিলেন। অনেক ঘুরেন। কাঙ্খিত দামে ইলিশ মেলেনি। অবশেষে ২২০০ টাকা দিয়ে দুইজনে দুইটি ইলিশ মাছ কিনে ঘরে ফিরেন।

তবে, নিজে বেশি দামে কিনলেও বিক্রেতারা তো কিছু টাকা পেল; তারা কক্সবাজারের, সেটাই সন্তুষ্টি- এমনটি জানালেন ক্রেতা মাইনউদ্দিন মুহাম্মদ শাহেদ।

ইকরাম চৌধুরী টিপু জানান, ৬৫ দিন সরকারী নিষেধাজ্ঞায় সাগরে অনেক বড় ইলিশ ধরা পড়ছে। তাতে জেলেরা খুশি। দাম একটু বেশি হলেও সুফল পাবে মৎস্যজীবীরা। তাতে সবার সন্তুষ্টি। তবে, ক্রমান্বয়ে ইলিশের দাম সহনীয় পর্যায়ে চলে আসবে মনে করেন তিনি।

কক্সবাজার মৎস্য অবতরণকেন্দ্রের পাইকারী ব্যবসায়ী মঈনউদ্দিন জানিয়েছেন, দীর্ঘদিন বন্ধ থাকায় ইলিশের চাহিদা বেশি। তাই দামও বাড়তি। ক্রমান্বয়ে দাম কমে যাচ্ছে।

তিনি জানান, তিন দিন আগে যেই ইলিশ শতে ১ লক্ষ ৬০ হাজার টাকায় বিক্রি হয়েছে তা আজ ১ লক্ষ কিংবা ১ লক্ষ ১০/২০ হাজার টাকা। প্রতিদিন দাম পড়ছে। কয়েক দিন পরে সহনীয় পর্যায়ে চলে আসবে। তখন স্থানীয় বাজারে যথেষ্ট ইলিশ মিলবে মনে করেন এই ব্যবসায়ী।

উল্লেখ্য, গত ১৯ মে মধ্যরাত থেকে ৩০ জুলাই পর্যন্ত ৬৫ দিনের জন্য সাগরে মাছ ধরার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে সরকার। নিষেধাজ্ঞা ওঠে যাওয়ার পর থেকে মাছধরার ট্রলার যাচ্ছে সাগরে।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন