উপজেলা প্রতিষ্ঠার ১২ বছরও পেকুয়ায় হয়নি সোনালী ব্যাংকের শাখা : চরম দূভোর্গে এলাকাবাসী

index

এম.জুবাইদ, পেকুয়া :

পেকুয়া উপজেলা প্রতিষ্ঠার ১২ বছর পেরিয়ে গেলেও রাষ্ট্রায়ত্ব সোনালী ব্যাংকের কোন শাখা পেকুয়ায় স্থাপন হয়নি। এতে পেকুয়ার ২ লক্ষাধিক মানুষকে চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। এ ছাড়া সুদুর চকরিয়া উপজেলার সোনালী ব্যাংকে গিয়ে সরকারী কর্মকর্তা কর্মচারী শিক্ষক শিক্ষিকাসহ হাজার হাজার চাকুরীজীবিদের বেতন ভাতা তুলতে হচ্ছে।

জানা যায়, জেলার উল্লেখযোগ্য জনঅধ্যুষিত পেকুয়ার ৭টি ইউনিয়ন নিয়ে উপজেলা প্রতিষ্ঠা হাওয়ার প্রায় এক দশকের ধার প্রাপ্তে পৌঁছেও অধ্যবধি এ উপজেলায় কোন ব্যাংক বীমাসহ অর্থ লেনদেনকারী প্রতিষ্ঠানের শাখা স্থাপন হয়নি। ফলে এখানকার মানুষ সরকার প্রবর্তিত অর্থকারী লেনদেনের বহুমুখী সুযোগ সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। পেকুয়া ইউনিয়নটি উপজেলায় উন্নীত হওয়ার পর এখানে বিভিন্ন সরকারী বেসরকারী স্বায়িত্ব শাসিত প্রতিষ্ঠান ও এনজিওসহ নানা ধরণের দাপ্তিরিক কার্যক্রম যেমন ভাবে চলছে। তেমনি এখানকার অধিবাসীরা দেশ বিদেশে চাকুরি করে টাকা আয় করছে।

এদিকে উপজেলা প্রতিষ্ঠার সাথে সাথে গড়ে উঠেছে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্টানসহ অবকাঠামো। এ সব প্রতিষ্ঠানে কর্মরত রয়েছে হাজার হাজার কর্মকতা কর্মচারী। তাদের বেতন ভাতা বোনাস ট্রেজারি চালান ব্যাংক ড্রাফটসহ যাবতীয় অর্থকারী লেনদেনের অন্যতম প্রধান প্রতিষ্ঠান হল সোনালী ব্যাংক। পেকুয়ায় এই ব্যাংকের কোন শাখা স্থাপন না হওয়ায় এখানকার লোকজন ও বিভিন্ন দপ্তরে কর্মরত সরকারী কর্মকর্তা কর্মচারীদের আর্থিক লেনদেন ও সুবিধা ভোগ করতে সুদুর চকরিয়া আসা যাওয়াতে চরম ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে।

এলাকাবাসী জানান, পেকুয়া থেকে কেউ সরকারী চাকরি করার জন্য দরখাস্ত দিতে চায়। তাহলে তাকে ১/২শত টাকা খরচ করে সুদুর চকরিয়া সোনালী ব্যাংকে গিয়ে ট্রেজারী চালন করতে হয়। ফলে চাকরি প্রার্থীর দূভোর্গের সীমা থাকে না।

এদিকে ২০১৩ সালের প্রথম দিকে জমি ক্রয় বিক্রয় নিকাহ সাব রেজিস্ট্রারের কার্যালয় সপ্তাহে ২ দিন পেকুয়ায় কার্যক্রম চালু হয়েছে। এতে ২দিনে পেকুয়ায় কোটি টাকার জমি ক্রয় বিক্রয় হয়। এসব রেজিস্ট্রীর ব্যাংক ড্রাফট করতে প্রতিদিন চকরিয়া সোনালী ব্যাংকে গিয়ে করে আনতে হয়। ফলে দলিক ও ক্রেতা বিক্রেতা উভয়দেরকে অপেক্ষা করতে হয়। অনেক সময় চকরিয়া সোনালী ব্যাংকে কাজের চাপ থাকলে ব্যাংক ড্রাফট করতে বিলম্ব হলে সাব রেজিষ্ট্রার অফিস বন্ধ করে চলে যায়। ফলে চরম দূভোর্গে পড়ে সাধারণ জনগণ।

আবার অনেক সময় বিলম্ব করার দায়ে অতিরিক্ত ফি দিয়ে রেজিস্ট্রী সম্পাদন করতে হয়। এ অবস্থায় এলাকাবাসীর দূভোর্গ লাঘবে যত দ্রুত সম্ভব পেকুয়ায় রাষ্ট্রায়ত সোনালী ব্যাংকসহ প্রধান প্রধান অর্থকারী লেনদেনকারী প্রতিষ্টান গুলোর শাখা অফিস স্থাপনের জোরদাবী জানান।

এই ব্যাপারে পেকুয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শাফায়েত আজিজ রাজুর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অনেকবার জানানো হয়েছে বলে জানান।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন