একইদিনে সারাদেশে বই বিতরণ হওয়ায় পাহাড়ের শিক্ষার্থীরা জ্ঞান অর্জনে সমান সুযোগ পাচ্ছে- বীর বাহাদুর

Bandarban pic-1.1

স্টাফ রিপোটার:

উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে বান্দরবানে বই উৎসব সম্পন্ন হয়েছে। শুক্রবার বছরের প্রথম দিন ক্ষুদ্র নৃ-গাষ্ঠীর সাংস্কৃতিক ইনস্টিটিউটে প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও ইবতেদায়ীর স্তরের শিক্ষার্থীদের হাতে নতুন বই তুলে দেন বই বিতরণ উৎসবের প্রধান অতিথি পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী বীর বাহাদুর এমপি।

বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ক্য শৈ হ্লা’র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, জেলা প্রশাসক মো: মিজানুল হক চৌধুরী, জেলা পরিষদের মূখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা মোমিনুর রশিদ আমিন, ক্যান্ট পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজের অধক্ষ্য দীলিপ কুমার রায়, জেলা পরিষদ সদস্য লক্ষি পদ দাশ, জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার আবু ইউছুফ, প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার আব্দুল কাদের প্রমূখ।

প্রতিমন্ত্রী বীর বাহাদুর বলেন, বিনা মূল্যে নতুন বই বিতরণ কার্যক্রমের মাধ্যমে সরকারের উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা আর্জন সহজ হবে। এই নতুন প্রজন্মই বাংলাদেশকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাবে। বর্তমান সরকার শিক্ষাকে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ত্ব দিয়েছে বলেই বছরের প্রথম দিনে শিক্ষার্থীদের হাতে বই তুলে দিতে পেরেছে। এতে বছরের শুরু থেকে শিক্ষার্থীরা পড়ালেখায় মনযোগী হতে পারবে এবং পরীক্ষায় ভালো ফলাফল করতে পারবে।

তিনি আরো বলেন, জেলার পাহাড়ি দুর্গম এলাকার স্কুলগুলোতেও বছরের প্রথম দিনে বই বিতরণ করা হচ্ছে। এতে তারাও অন্যদের সঙ্গে তাল মিলিয়ে জ্ঞান-অর্জন করতে সক্ষম হবে। তবে শুধু বই নিয়ে ঘরে বসে থাকলে চলবে না, পড়ালেখার প্রতি আন্তরিক হতে হবে। এজন্য শিক্ষক ও অভিভাবকদের শিক্ষার্থীদের প্রতি আরও যত্ববান ও দায়িত্ববান হওয়ার আহ্বান জানান প্রতিমন্ত্রী। পরে প্রতিমন্ত্রী জেলার বিভিন্ন স্কুলে গিয়ে শিক্ষার্থীদের মধ্যে বই বিতরণ কার্যক্রমে অংশ নেন।

এদিকে, বান্দরবানে নতুন বছরে এক হাজার ৬৭টি প্রাইমারি স্কুলে মোট ৪ লাখ ২ হাজার ৭৪৭টি ও ২৭টি মাধ্যামিক বিদ্যালয়ে ৪ লাখ ৮৯ হাজার ২৮৫টি বই বিতরণ করার কথা রয়েছে।

কিন্তুু সব প্রাথমিক স্কুলে বাংলাদেশ ও বিশ্ব পরিচয়, প্রাথমিক বিজ্ঞান ও বৌদ্ধ ধর্ম শিক্ষার বই পৌঁছেনি বলে জানিয়েছেন জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার আব্দুল কাদের। অন্যদিকে মাধ্যমিক স্থরে ৬ষ্ট ও ৭ম শ্রেণির বৌদ্ধ ধর্ম এবং ইতেদায়ীর ৭ম ও ৯বম শ্রেণীর বই এখনো হাতে পৌঁছেনি বলে জানিয়েছেন জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার আবু ইউছুফ।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন