এলএ শাখার সাবেক ভূমি অধিগ্রহণ কর্মকর্তা চট্টগ্রামে আটক

fec-image

কক্সবাজার এলএ শাখার সাবেক অতিরিক্ত ভূমি অধিগ্রহণ কর্মকর্তা বিজয় কুমার সিংকে আটক করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

সোমবার (১৫ মার্চ) বেলা দুইটার দিকে চট্টগ্রামের এমইএস কলেজ গেইট এলাকা থেকে তাকে আটক করা হয়েছে। দুদকের চট্টগ্রামের সমন্বিত জেলা কার্যালয়-২ এর উপ-সহকারী পরিচালক মো. শরিফুল ইসলামের নেতৃত্বে এ অভিযান চালানো হয়।

পিবিআই এর জেলা কার্যালয় নির্মাণের জন্য ভূমি অধিগ্রহণে দুর্নীতির স্পেশাল ৬/২০২০ নম্বর মামলায় বিজয় কুমার সিংকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন দুদক কর্মকর্তা মো. শরীফ উদ্দিন।

তিনি জানান, এ মামলায় গ্রেফতার অন্যান্য আসামীরা ফৌজদারী কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় বিজয় কুমার সিং জড়িত আছেন মর্মে জবানবন্দি দিয়েছেন। ক্রমান্বয়ে সব অভিযুক্তকে আইনের আওতায় আনা হবে।

পিবিআইর জমি অধিগ্রহণের টাকায় অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ ছিল একটি সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, কক্সবাজারের কলাতলীর ঝিলংজা মৌজায় পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেষ্টিগেশনের (পিবিআই) অফিস ভবন নির্মাণ প্রকল্পের জন্য কক্সবাজার জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের এল.এ ০৪/২০১৮-১৯ইং নং মামলা মূলে বি.এস ১৭০৫০, ২০৩০৭, ২০৩০৬ ও ২০১৬৩ দাগের প্রায় এক একর জমি অধিগ্রহণ করা হয়। জমি অধিগ্রহণে এডভোকেট নুরুল হক, মোহাম্মদ ইদ্রিছ সিআইপির নেতৃত্বে একটি সিন্ডিকেট গঠন করা হয়। সিন্ডিকেটে নাছির উদ্দিন, টিপু সুলতান, ফেরদৌসী আক্তারসহ সিন্ডিকেট সদস্যদের স্ত্রী এবং বিভিন্ন নামে-বেনামে প্রায় ২৮ কোটি টাকা উত্তোলন করে আত্মসাৎ করা হয়েছে।

নুরুল আল, মফিজুর রহমান, সেলিম গংসহ বিভিন্ন মানুষের জমি জাল-জালিয়াতির মাধ্যমে অধিগ্রহণ দেখিয়ে সরকারি টাকা আত্মসাৎ করা হয়েছে। জমির প্রকৃত মালিকরা সেখানে ক্ষতিপূরণের কোন টাকা পাননি বলে অভিযোগ উঠে।

জমির প্রকৃত মালিকরা কক্সবাজারের জেলা প্রশাসকসহ সরকারের বিভিন্ন দফতরে অভিযোগ দিয়েও কোন প্রতিকার পাননি। এমনকি আদালতের আশ্রয় নিলেও আদালতের নিষেধাজ্ঞাকেও পরোয়া করেননি সিন্ডিকেট সদস্যরা।

জমির প্রকৃত মালিকদের অভিযোগ এবং মামলাকে পাশ কাটিয়ে কৌশলে মোটা অঙ্কের ঘুষের বিনিময়ে সিন্ডিকেট সদস্যদের নামে-বেনামে ক্ষতিপূরণের চেক ইস্যু করে সরকারি টাকা আত্মসাতের সুযোগ করে দেন সরকারি কর্মকর্তারা।

শুধু তাই নয়, বাতিলকৃত খতিয়ান দেখিয়ে টাকা উত্তোলন করা হয়। জমি না থাকলেও জাল-জালিয়াতির মাধ্যমে বিপুল পরিমান টাকা তুলে নেয়া হয়েছে। এ ঘটনায় গত ২ মার্চ এডভোকেট নুরুল হক ও মোহাম্মদ ইদ্রিছ সিআইপিকে গ্রেফতার করে দুদক।

কক্সবাজার আইনজীবী সমিতির নেতাদের জিম্মায় এডভোকেট নুরুল হক জামিন পেলেও কারান্তরীন থাকেন মোহাম্মদ ইদ্রিছ সিআইপি। এ মামলার তদন্ত করছে সরকারি সংস্থাটি।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন