সরকার দলীয় মনোনয়ন পেতে তৎপর মাদক সম্রাট মীর কাশেম
দীর্ঘদিনের অপরাধ কর্ম ঢাকা দিয়ে সরকার দলীয় মনোনয়নের পেতে কোটি টাকার মিশন নিয়ে মাঠে নেমেছে টেকনাফের মাদক সম্রাট মীর কাশেম (সাবেক মেম্বার) । সে টেকনাফের লম্বরী এলাকার মৃত তোফাজ্জল আহমেদ এর ছেলে। তার অপরাধ কর্মের অন্যতম সহযোগী হলো হোসেনের ছেলে আব্দুল কাদের।
সূত্রে জানা গেছে, শুধুমাত্র কক্সবাজারের টেকনাফ সীমান্ত এলাকা নয়, সাগর পথেও ইয়াবা কারবার নিয়ন্ত্রণ করে শীর্ষ দুই মাদক সিন্ডিকেট।
সূত্র আরও জানায়, তারা দুইজনই দীর্ঘদিন ধরে সীমান্ত শহর টেকনাফসহ সড়ক এবং নৌপথে মাদক সাম্রাজ্য নিয়ন্ত্রণ করে আসছে। অপরাধ কর্মকাণ্ড ঢাকা দিতে আসন্ন সদর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ক্ষমতাসীন দলের মনোনয়নের জন্য দৌঁড়ঝাপ শুরু করেছে মীর কাশেম।
এব্যাপারে টেকনাফ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নুর বশর ফোন রিসিভ না করায় তার বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।
তবে সভাপতি মো. জাহেদ মাস্টার বলেন, মীর কাশেমসহ ৫ জনের নামের তালিকা ইতোমধ্যে জেলায় গ্রহণ করা হয়েছে। তার ইয়াবা কারবারে সংশ্লিষ্টতার বিষয়ে আগে কেউ বলেনি। আগে জানলে হয়ত তার নামটি বাদ দেয়া হতো।
কক্সবাজার জেলা আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক মেয়র মুজিবুর রহমানের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনিও ফোন রিসিভ না করায় তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
এর আগে র্যাবের হাতে আটক দুই ইয়াবা কারবারী দীর্ঘদিন ধরে মাদক সম্রাটখ্যাত মীর কাশেম ও আব্দুল কাদের নিয়ন্ত্রণে থেকে মাদক ক্রয়-বিক্রয়ের কথা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করে এমনটি জানিয়েছেন র্যাব-১৫, সিপিসি-১ এর ডিএডি কৃষ্ণপদ ভৌমিক।
আটককৃতরা হলো, টেকনাফ সদরের ২নং ওয়ার্ড উত্তর লেঙ্গুরবিল এলাকার অলি আহমদের ছেলে মো. হাবিবুর রহমান প্রকাশ বাবুল (৩২) এবং হাবিবছড়া ১নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা আব্দুল জব্বারের ছেলে আব্দুল হামিদ (২৭)।
উল্লেখ্য, ১১ মার্চ রাত পৌনে ১২টার দিকে পর্যটন বাজার এলাকা থেকে প্রায় ৬ হাজার পিস ইয়াবাসহ নগদ ৭ লক্ষ ১৩ হাজার ৫০০ টাকা ও বিভিন্ন সরঞ্জামসহ দুইজনকে আটক করে র্যাব। পরে তাদের টেকনাফ থানা পুলিশকে হস্তান্তর করা হলে মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা রুজু করে আদালতে প্রেরণ করা হয়। যার মামলা নং- ৪৩, তারিখ- ১২/৩/২০২১ইং।