কলাতলী পয়েন্ট সাজবে নান্দনিক সাজে
কক্সবাজার প্রতিনিধি:
কক্সবাজার শহরের কলাতলীর ডলফিন চত্বর থেকে সমুদ্র সৈকত পর্যন্ত এই অংশটিকে নান্দনিকভাবে সাজানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। বর্তমান সড়কটি দুই লেনে উন্নীত করা হবে। সড়কের পাশে থাকবে প্রশস্ত ফুটপাত ও ড্রেন। চারপাশে সৌন্দর্য্যবর্ধক গাছ লাগানো হবে। ডলফিন চত্বর হয়ে সৈকতের দিকে এগুতেই হাতের বামপাশে থাকবে দৃষ্টিনন্দন সুবজঘেরা পার্ক। যা পর্যটকরা আকৃষ্ট করবে। সেখানে গাছের ছায়ায় বসে বিশ্রামের জন্য চেয়ার ও ছাউনীর ব্যবস্থা থাকবে। পর্যটকরা ওই মনোরম প্রাকৃতিক পরিবেশে বসেই সমুদ্র দর্শন করতে পারবেন। এ সব পরিকল্পনার কথা জানিয়েছেন কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মো. আলী হোসেন।
জেলা প্রশাসন সূত্র জানিয়েছে, পরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্য সম্প্রতি কলাতলীর প্রাকৃতিক দৃশ্য ও সৌন্দর্য্যবর্ধন শীর্ষক একটি প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। জেলা পরিষদ প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে। ইতোমধ্যে জেলা পরিষদ থেকে প্রস্তাবিত প্রকল্পের অধীনে ৩০ লাখ টাকার বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। সম্পন্ন হয়েছে টেন্ডার প্রক্রিয়াও। বরাদ্দকৃত টাকায় প্রথম ধাপে ফুটপাত ও ড্রেন নির্মাণ কাজের দায়িত্ব পেয়েছে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান এইচকেসি এন্টারপ্রাইজ।
সূত্রটি আরো জানায়, পর্যটক আকর্ষণের জন্য কলাতলী পয়েন্ট সাজানোর চিন্তা প্রথম মাথায় আসে জেলা প্রশাসক মো. আলী হোসেনের। তিনি এ ব্যাপারে একটি সুন্দর প্রকল্প প্রস্তাবনা তৈরীর জন্য ঢাকার একজন প্রকৌশলীর সাথে যোগাযোগ করেন। প্রকল্প এলাকাটি সড়ক ও জনপদ বিভাগের অধীন হওয়ায় প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য সওজের অনুমোদন চাওয়া হয়। অনুমোদন পাওয়ার পর প্রথম পর্যায়ে প্রকল্পে অর্থায়নে এগিয়ে আসে জেলা পরিষদ।
সূত্র মতে, প্রকল্পের অধীনে পর্যায়ক্রমে এই বর্তমান সড়কটিকে দুই লেনে উন্নীত করা হবে। একেক লেনের দৈর্ঘ্য হবে ৩০ ফুট। দুই পাশে প্রশস্ত ফুটপাত থাকবে। এর পর সড়কের পাশ্ববর্তী বড় একটি অংশ সবুজে গাছ লাগানো হবে। পর্যটকরা ওই সবুজ ছায়াময় পরিবেশে একান্তে সময় কাটাতে পারবেন। সেখানে প্রবেশের জন্য থাকবে ১২ ফুট দৈঘ্যের একটি অভ্যন্তরীন রাস্তা এবং ৫ ফুট দৈর্ঘ্যের ফুটপাত।
মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে কক্সবাজার জেলা পরিষদের সহকারি প্রকৌশলী মো. সোহেল রানা বলেন, ‘সড়ক বিভাগের অনুমতি পাওয়ার পর জেলা পরিষদ থেকে ৩০ লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। প্রকল্প বাস্তবায়নের প্রথম ধাপে ৯ ফুট প্রশস্তের ফুটপাত ও ৩ ফুট প্রশস্তের ড্রেন নির্মাণ করা হবে। টেন্ডার প্রক্রিয়ার মাধ্যমে এসব নির্মাণ কাজের দায়িত্ব পেয়েছে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান এইচকেসি এন্টারপ্রাইজ বলে জানান তিনি।’
কক্সবাজার সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী রানাপ্রিয় বড়ুয়া বলেন, ‘কলাতলীর সৌন্দর্য্য বর্ধনের জন্য গৃহিত প্রকল্পের এলাকাটি সওজের মালিকানাধিন হওয়ায় আমাদের কাছে অনুমোদন চাওয়া হয়। সেই মোতাবেক আমরা অনুমোদন দিয়েছি। প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য সড়কের দুই পাশের সমস্ত অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হেেয়ছে। এখন জেলা পরিষদের তত্ত্বাবধানে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হবে।’
কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মো. আলী হোসেন বলেন, ‘কলাতলীর ডলফিন পয়েন্ট থেকে সমুদ্র সৈকত পর্যন্ত অংশটিকে আমরা নান্দনিকভাবে সাজাতে চাই। এর জন্য একটি বৃহৎ প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে। প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য জেলা পরিষদ ৩০ লাখ টাকা বরাদ্দ দিয়েছে।
তিনি আরো বলেন, ইতোমধ্যে ওই সড়কের অবৈধ স্থাপনাগুলো আমরা উচ্ছেদ করেছি। আশা করছি দ্রুততম সময়ের মধ্যেই এই কাজ বাস্তবায়ন হবে। পর্যটকরা অত্যন্ত মনোরম পরিবেশে সমুদ্র সৈকতে সময় কাটাতে পারবেন বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।’