কীটনাশক প্রয়োগে ঝরে গেল আম! অর্ধ লক্ষাধিক টাকার ক্ষতি আম চাষীর
পেশায় সিএনজি চালক এবং পাশাপাশি আম চাষী হন সুশান্ত চাকমা(৩০)। বাঘাইছড়ি উপজেলার সাজেকের বাঘাইহাট গংগারাম মুখ এলাকায় সংসারের বাড়তি আয়ের আশায় গড়ে তোলেন মিশ্র ফলজ বাগান।
ফলজ বাগানো শতাধিক আম গাছ ও শতাধিক মাল্টা এবং আমড়া গাছ রোপন করে মিশ্র ফলজ বাগান তৈরি করে। গেল বছর সে বাগান থেকে ২৫-৩০হাজার টাকার আম বিক্রি করেন। এবছর তার সেই বাগান থেকে দ্বিগুণ লাভের আশায় ব্যাপক যত্ন ও পরিশ্রম করে। এর ফলে আম ও মাল্টায় ফলন হয় বাম্পার।
এর মধ্যেই বৈশ্বিক করোনাভাইরাসের হানায় বাজারে পাইকার ও ক্রেতা কম থাকবে। তার উপর আম পরিপক্ব হতেও আরো ১৫-২০দিন সময় লাগবে। তাই আমে পোঁকা না আসার জন্য বাজার থেকে ক্রয় করেন “রিফেন ১৫” কীটনাশক। আর সেই কীটনাশক গাছে ছিঁটিয়ে দেয়। আর কীটনাশকই যেন নামিয়ে আনল দুঃখ।
কীটনাশক দেওয়ার পর সব আম ঝরে পড়ে। শুক্রবার(২৯ মে) সরেজমিন তার বাগানে গিয়ে দেখা যায় প্রতিটি গাছের গোড়াই ১০-১৫করে আম পড়ে আছে।
এনিয়ে কথা হয় আম চাষী সুশান্ত চাকমার সাথে, তিনি বলেন গত বছর আমার এই বাগান থেকে ত্রিশ হাজার টাকার আম বিক্রি করেছি। এবছর তাই আরো দ্বিগুণ আয়ের আশায় ভালো করে আম বাগানে নিজেসহ লোক দিয়ে কাজ করিয়েছি। যাতে ভালো ফলন হয় এবং আমে পোঁকা না আসার জন্য গংগারাম বাজারের কীটনাশকের দোকান থেকে গত মঙ্গলবার পোঁকা দমনে ঔষধ সংগ্রহ করে আম গাছে ছিটিয়ে দিয়েছি।
একদিন পরেই আমগাছের প্রায় ৯০ শতাংশ আম ঝরে পড়ে। আমগুলো এখনো পরিপক্ব হয়নি তাই বিক্রি করাও যাবেনা। অন্য কোন কিছুই করা যাবেনা। এতে করে আমার প্রায় ৬০-৬৫হাজার টাকার ক্ষতি হয়।
তাই আমি সরকারের সহায়তার অপেক্ষায় বিভিন্ন অফিসে দৌঁড়াদৌড়ি করছি। সরকারের প্রতি অনুরোধ আমাকে যেন প্রণোদনা ও সহায়তা প্রদান করে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেয়।
এ বিষয়ে সাজেকের কৃষি উপসহকারী বৃঙ্ক চাকমা বলেন, আম চাষী আমাদের পরামর্শ না নিয়ে বাগানে কীটনাশক প্রয়োগ করেছে। হয়ত ভুলক্রমে মাত্রায় বেশি দেওয়াতে এমন হয়েছে। তারপরেও আমি বিষয়টা উপজেলা ও জেল কৃষি কর্মকর্তাদের অবগত করেছি এবং আমরা কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে সর্বাত্বক সহযোগিতা করব।