স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে দীঘিনালার আম যাচ্ছে সারাদেশে
স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে দীঘিনালা উপজেলার উৎপাদিত আম যাচ্ছে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে। বিষ ও ফরমালিনবিহীন আম্রপালি ও রাঙ্গুইসহ উন্নত নানা জাতের সুস্বাদু আমের ফলন হয়েছে বাম্পার। গুণগত মান ও স্বাদের ভিন্নতা থাকায় সারাদেশে চাহিদাও বেশি এসব আমের।
দীঘিনালা উপজেলার দিব্য রাজ কানন বৌদ্ধ বিহারে গিয়ে দেখা যায়, উপজেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আম সংগ্রহ স্তুপ করা হয়। পরে সেখানে কেউ ঝুড়ি বোঝাই করছে আবার কেউ ঝুড়ি নিয়ে চাঁদের গাড়িতে বোঝাই করছে। এসময় কথা হয় কয়েকজন শ্রমিকের সাথে।
রতন ত্রিপুরা নামে এক শ্রমিক জানান, উপজেলার বিভিন্ন বাগান থেকে আমগুলি ২০/৩০ টাকা দরে কেনা হয়েছে। এখান থেকে আমগুলি খাগড়াছড়ি যাবে। সেখানে মান নির্ধারিত হয়ে আলাদা কার্টুন করে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ঢাকা, চট্টগ্রাম, ফেনী, সিলেট চলে যাবে।
এব্যাপারে দীঘিনালা ফলদ বাগান মালিক সমিতির সহ-সভাপতি চন্দ্র কিশোর ত্রিপুরা জানান, আমি উপজেলার নয়মাইল এলাকায় ৫ একর এলাকা জুড়ে আম এবং লিচু্ রোপণ করেছি। এবছর শুধু আম বিক্রি করেছি এক লাখ টাকার। পাইকাররা সব আম দেশের বিভিন্ন প্রান্তে নিয়ে বিক্রি করে থাকেন।
তিনি আরো জানান, দীঘিনালা ফলদ বাগান একটা খুবই লাভবান ব্যবসা| এখানে ঝূকি কম|আমরা ১৭টি বাগান মালিক নিয়ে সমিতি গঠন করি| বর্তমানে এসমিতির ২১ জন সদস্য রয়েছে| তিনি আরো জানান আমাদের দেখাদেখি আরো নতুন নতুন বাগান সৃজন হচ্ছে।