খাগড়াছড়িতে মারমাদের ‘রিছিমিং ম্যোয়রে’ ও ‘গংখাংছিমিং ম্হৃওতে’ উদযাপন

fec-image

মারমাদের ভাষায় জল-কে “রি”, প্রদীপ-কে বলা হয় “ছিমিং” এবং “ম্যোয়রে” এর বাংলা অর্থ ভাসানো। “রিছিমিং ম্যোয়রে” এর অর্থ জলপ্রদীপ ভাসানো এবং “গংখাংছিমিং ম্হৃওতে” এর অর্থ ফানুস উড়ানো। দীর্ঘ ৩ মাস (বর্ষাবাস) পর মারমা সম্প্রদায়েরা বর্ণিল আয়োজনে ক্যায়াং ক্যায়াং এ বৌদ্ধ পূজা, আরাধনা, সন্ধ্যায় প্রতীকী হিসেবে হাতির মূর্তি “জলপ্রদীপ” নদীতে ভাসানো হয় এবং পরে ফানুস উড়িয়ে প্রবারণা পূর্ণিমা উদযাপন করা হয়। এক কথায় অন্যরকম সৌন্দর্য্য শোভা পাচ্ছে এই উৎসবটি।

বৌদ্ধ সম্প্রদায়েরা প্রবারণা পূর্ণিমা উপলক্ষে খাগড়াছড়ির য়ংড বৌদ্ধ বিহার এ উপলক্ষ্যে বর্ণিল সাজে সেজেছে। শত বছরের পুরোনো এই ‘য়ংড’ বৌদ্ধবিহারে প্রতি বছরের ন্যায় এ বছরও প্রদীপ জ্বালিয়ে ভক্তরা নদীতে ও পুকুরে জলপ্রদীপ ভাসিয়ে ও ফানুস উড়ানোর মধ্যদিয়ে উদযাপিত করা হয়েছে এবারের প্রবারণা পূর্ণিমা। প্রবারণা পূর্ণিমার পরে প্রথম শুক্রবার থেকে মাসব্যাপি বিভিন্ন ক্যায়াং ও বিহারগুলোতে দানোত্তম কঠিন চীবর দান উৎসব উদযাপন করা হবে।

এ দিন বিহারে বিহারে ছোয়াইং দান ও ফানুস বাতি উড়ানোর মধ্য দিয়ে শুরু হয় এ উৎসব। মারমা সম্প্রদায়ের এলাকাগুলোও সেজেছে এ উপলক্ষে ভিন্ন সাজে। বুদ্ধ মূর্তি স্নান হাজার প্রদীপ প্রজ্জলন, ছোয়াইং দান, পিঠা তৈরি, ফানুস উড়ানোসহ নানা ধরনের সাংস্কৃতিক উৎসব অনুষ্ঠিত হয়।

Print Friendly, PDF & Email
ঘটনাপ্রবাহ: খাগড়াছড়ি, গংখাংছিমিং ম্হৃওতে, মারমা
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন