খাগড়াছড়িতে স্ত্রী-সন্তানকে হত্যার দায়ে স্বামীকে মৃত্যুদন্ড, শশুর ও শাশুড়ির যাবজ্জীবন

fec-image

যৌতুকের জন্য খাগড়াছড়িতে স্ত্রী ও শিশু সন্তানকে হত্যার দায়ে স্বামী ছাবের আলী (২৯) নামে এক যুববকে মৃত্যুদন্ড ও ৫০ হাজার টাকা অর্থদন্ডে দন্ডিত করা হয়েছে। এছাড়া মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত আসামির বাবা মোঃ মাহবুব আলী (৫৪) ও স্ত্রী রেনু আরা বেগমকে (৪৯) হত্যাকান্ডে সহযোগীতার দায়ে যাবজ্জীবন কারাদন্ড ও একই সাথে ১০ হাজার টাকায় অর্থদন্ডে দন্ডিত করা হয়।

বৃহস্পতিবার (৫ সেপ্টেম্বর) খাগড়াছড়ি জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক রেজা মো: আলমগীর হাসান এ রায় দেন। এ সময় আসামিরা আদালতে উপস্থিত ছিলেন। তবে এই মামলার অপর আসামি মোঃ শাহজাহানের (২৪) বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তাকে বেকসুর খালাস প্রদান করা হয়।

মামলার বিবরণে জানা গেছে, ২০১৬ সালের ২২ মার্চ রাত ৮টার দিকে খাগড়াছড়ির গুইমারা বড়পিলাকে যৌতুকের জন্য নেশাগ্রস্ত স্বামী ছাবের আলী ঘুমন্ত অবস্থায় তার স্ত্রী মাজেদা বেগম ও ছয় মাসের শিশু পুত্র রিদোয়ানকে গলা টিপে হত্যা করে। পরে এলাকাবাসী তাকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে। এ ঘটনায় মাজেদা বেগমের বাবা সাহাব উদ্দিন মেয়ের জামাই সাবের আলী, শশুড়, শাশুড়ি ও দেবর শাহজাহানকে আসামি করে মামলা দায়ের করেছে।

মাজেদা বেগমের পিতা সাহাব উদ্দিন মামলার রায়ে সন্তষ্টি প্রকাশ করে বলেন, বিয়ের পর থেকে জামাই সাবের আলী মোটরসাইকেল কেনার জন্য এক লাখ টাকা যৌতুক দাবি করে তাদের মেয়ের উপর নির্যাতন চালিয়ে আসছিল। তারই ধারাবাহিকতায় ঐদিন রাতে মেয়ে মাজেদা বেগম ও নাতি রিদোয়ানকে হত্যা করে।

পাবলিক প্রসিকিউটর এডভোকেট বিধান কানুনগো রায়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করে বলেন, মামলা চলাকালীন রাষ্ট্রপক্ষ মোট ১৬ জনের স্বাক্ষ্য আদালতে উপস্থাপন করা হয়। প্রায় সাড়ে ৩ বছরের মাথায় আদালত রায় ঘোষণা করেন।

Print Friendly, PDF & Email
ঘটনাপ্রবাহ: খাগড়াছড়ি জেলা ও দায়রা জজ আদালতে, পাবলিক প্রসিকিউটর, বেকসুর খালাস
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন