গর্জনীয়ায় শ্বশুর বাড়ির লোকজনের পিটুনিতে জামাই গুরুতর আহত
নাইক্ষ্যংছড়ি (বান্দরবান) প্রতিনিধি :
রামু উপজেলার গর্জনীয়ায় শ্বশুরের দায়ের কোপে জামাই গুরুতর আহত হয়েছে। তিনি ইউনিয়নের উত্তর বড়বিল এলাকার বাসিন্দা মৃত আব্দুল হাদীর পুত্র ব্যবসায়ী আবুল কালাম প্রকাশ আবু (৩০)। ঘটনাটি ঘটেছে সোমবার সকাল সাড়ে নয়টার দিকে বড়বিল উত্তর পাড়া এলাকায়।
প্রত্যক্ষদর্শী ইসকান্দর মিজান, সিরাজুল ইসলাম, ডাঃ নুরুল আবছার বলেন, প্রতিদিনের ন্যায় সকালে বাইশারী বাজারে ব্যবসার উদ্দেশ্যে রওয়ানা হলে কিছু বুঝে উঠার আগেই আবুল কালামের শ্বশুর নুরুল ইসলামসহ ৭/৮ জন লোক তাকে দা, লাঠি সোঠা দ্বারা এলোপাতাড়ী মারধরের এক পর্যায়ে সে মাটিতে পড়ে জ্ঞান হারিয়ে ফেলে। ঐসময় এলাকাবাসীরা শৌর চিৎকার শুনে এগিয়ে আসলে শ্বশুর বাড়ির লোকজন পালিয়ে যায়। ঘটনাস্থল থেকে আবুল কালামকে উদ্ধার পূর্বক বাইশারী বাজারে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে অবস্থার অবনতি হওয়ায় কক্সবাজার সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। বর্তমানে তার অবস্থা আশংকাজনক বলে পারিবারিক সূত্রে জানা যায়।
স্থানীয়রা জানান, ব্যবসায়ী আবুল কালাম দীর্ঘদিন ধরে বাইশারী বাজারে ব্যবসা করে প্রতিদিনের টাকা পয়সা ৪ সন্তানের জননী স্ত্রী ফাতেমা খাতুনের নিকট জমা দেয়। স্ত্রী কৌশলে জামাইয়ের টাকা-পয়সা, মালামাল তার বাপের বাড়িতে পাঠিয়ে দিতো। উক্ত ঘটনায় জামাই আবুল কালাম আবু বিভিন্ন সময় তাকে নিষেধ করা সত্বেও স্ত্রী ফাতেমা বেগম কর্ণপাত না করায় ২২ নভেম্বর রাতে তাদের মাধ্যে বাকবিতন্ডার এক পর্যায়ে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। বিষয়টি তার পিতাকে জানালে ক্ষিপ্ত হয়ে শ্বশুর নুরুল ইসলামসহ ৭/৮ জন লোক এই ঘটনা ঘটায় ।
অপরদিকে স্ত্রী ফাতেমা বেগম বলেন, আমার স্বামী আবুল কালাম দেবরের স্ত্রীকে ভরণ পোষণ না দেওয়ার জন্য বার বার বলা সত্বেও সে আরো উল্টো আমাকে মারধর করে। উক্ত ঘটনাটি তার পিতাকে জানালে সমাধানের চেষ্টার এক পর্যায়ে স্বামী উত্তেজিত হওয়ায় উভয় পক্ষের মারামারির সৃষ্টি হয়। এতে স্ত্রী ফাতেমা বেগমের বড় বোন হালিমা খাতুন, মরিয়ম ও শ্বশুড় নুরুল ইসলাম আহত হয়েছেন বলে জানান।
এ বিষয়ে স্থানীয় ওয়ার্ড মেম্বার ফেরদাউস আলী ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, ইতিপূর্বেও উক্ত ঘটনা নিয়ে তিনি কয়েক দফা স্থানীয়ভাবে সালিশী বৈঠকে বসে সমাধানের চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু স্থানীয় বিচার শালিশ না মানায় তাদেরকে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়।