গুইমারায় বিএনপিতে বাধ্যতামূলক যোগদান নাটক : সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ জামায়াতের


খাগড়াছড়ির গুইমারা উপজেলায় বিএনপিতে তথাকথিত ‘বিশেষ যোগদান’ ঘিরে নতুন করে উত্তেজনা ছড়িয়েছে। ২২ নভেম্বর সন্ধ্যায় গুইমারার ১৯ জনকে খাগড়াছড়িতে নিয়ে জামায়াত–শিবির কর্মী পরিচয়ে বিএনপিতে যুক্ত করানোর অভিযোগ তুলেছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী গুইমারা উপজেলা শাখা। নেতৃবৃন্দ সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, ‘বিএনপির নিজেদের কর্মী এমনকি আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ কর্মীদেরও জামায়াত আখ্যা দিয়ে বিএনপিতে যোগদান দেখানো রাজনৈতিক দেউলিয়াত্ব ছাড়া আর কিছুই নয়।’
২৩ নভেম্বর রোববার জরুরি সংবাদ সম্মেলনে করে জামায়াতের গুইমারা উপজেলার তথ্য ও মিডিয়া সম্পাদক আবু বকর ছিদ্দিক বলেন, বিএনপিতে যোগদানকৃতদের বেশিরভাগেরই জামায়াত বা শিবিরের সাথে কোনো সম্পৃক্ততা নেই।
তিনি অভিযোগ করে বলেন, যাদের যোগদান নিয়ে প্রচার চালানো হচ্ছে, তাদের অনেকে আগে থেকেই বিএনপির সক্রিয় কর্মী ছিলেন। যেমন জালিয়াপাড়া বাজারের ব্যবসায়ী কামাল উদ্দিন, যাকে জামায়াত থেকে যোগদানকারী বলা হলেও তিনি ১ সেপ্টেম্বর বিএনপির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর খাগড়াছড়ির অনুষ্ঠানে অংশ নিয়েছিলেন।
হাজিপাড়ার আব্দুল আজিজ আগেই বিএনপির রাজনীতিতে যুক্ত। রং মিস্ত্রী ইকবাল হোসাইন, যাকে শিবির বলা হচ্ছে, তিনি ছাত্রলীগের কর্মী ছিলেন। মুসলিম পাড়ার মোস্তফা একসময় গুইমারা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ছিলেন।
ইসলামপুরের তৈয়ব আলী, উপজেলা যুবলীগের সদস্য। এমনকি কয়েকজন দিনমজুরকে ঘুরতে নেওয়া হচ্ছে বলে খাগড়াছড়িতে নিয়ে জামায়াত কর্মী আখ্যা দিয়ে যোগদান করানো হয়েছে বলেও সংবাদ সম্মেলনে দাবি করা হয়।
উপজেলা জামায়াত নেতৃবৃন্দ সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ৫ আগস্টের পর জামায়াত ইসলামীকে ঘিরে জনগণের আস্থা বৃদ্ধি পাওয়ায় ঈর্ষান্বিত হয়ে এমন নাটক সাজানো হচ্ছে। ফ্যাসিবাদমুক্ত বাংলাদেশে মিথ্যাচার, ভয়-ভীতি ও বিভ্রান্তির রাজনীতি জনগণ গ্রহণ করবে না বলেও মন্তব্য করেন গুইমারা উপজেলা শাখা জামায়াত নেতারা। তারা এই যোগদানে বিভ্রান্ত না হয়ে বাস্তব তথ্য যাচাইয়ের আহ্বান জানান।
















