শাহপরীর দ্বীপে ৪ দিন পর ত্রাণ সামগ্রী পেলো ক্ষতিগ্রস্তরা

ঘূর্ণিঝড় মোখা: সেন্টমার্টিনে ৪’শ বান্ডিল টিন ও ১২ লাখ নগদ অর্থ প্রদান

fec-image

ঘূর্ণিঝড় মোখা আসার খবর পেয়ে আমরা আগের দিন ডাংগর পাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয় আশ্রয় কেন্দ্রে অবস্থান নিই। ঘূর্ণিঝড় আমাদের ঘর গুলো একদম মাটিতে পড়ে গেছে। এখনো উঠানো সম্ভব হয়নি। এরপর থেকে চারদিন অতিবাহিত হলো। শুকনো খাবার বা অন্য কোন সহায়তা এই প্রথম পেলাম। এসব কথা বলেছেন টেকনাফের সাবরাং ইউনিয়নের শাহপরীর দ্বীপ ডাংগর পাড়ার রহিমা খাতুন, কবির আহমদ, আব্দুল হালিম।

বুধবার (১৭ মে) বিকেলে দুর্যোগ ব্যবস্হাপনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. মিজানুর রহমান ঘূর্ণিঝড় কবলিত টেকনাফ সফরে এলে এসব কথা বলেছেন তারা। কথা গুলো শুনে এবং এলাকা পরিদর্শন শেষে ক্ষতিগ্রস্ত এই তিন পরিবার ছাড়াও সম্পূর্ণ ভেংগে পড়া ঘরগুলো মেরামত করার জন্য পরিবার প্রতি দুই বান্ডিল টিন ও ছয় হাজার নগদ অর্থ সহায়তা ঘোষণা করেন, উপজেলা প্রশাসন এবং উপস্হিত ২” শ ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের মধ্যে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করা হয়।

এ সময় টেকনাফ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নুরুল আলম, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. কামরুজ্জামান, জেলা ত্রাণ ও পূর্নবাসন কর্মকর্তা মো. জাহাঙ্গীর আলম, টেকনাফ উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা সুধীর কুমার দত্ত, স্হানীয় ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য আবদুল মান্নান,রেজাউল করিম রেজু প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. কামরুজ্জামান বলেন, ” ঘূর্ণিঝড় মোখা কবলিত এলাকায় ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নিরূপণ করা, ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার গুলোর তালিকা প্রনয়নের কাজ চলছে।”

তিনি আরও জানান, ” ইতিমধ্যেই সেন্টমার্টিনের জন্য ৪ শত বান্ডিল ঢেউ টিন ও নগদ ১২ লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এক বান্ডিল টিনের বিপরীতে তিন হাজার নগদ অর্থ সহায়তা দেওয়া হবে।

সেখানে টেকনাফ উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. এরফানুল হক চৌধুরীর সমন্বয়ে একটা টিম ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার গুলোর তালিকা যাচাই-বাছাই করছেন। সেই অনুযায়ী বরাদ্দ দেওয়া টিন ও নগদ অর্থ প্রদান করা হবে।”

জেলা ত্রাণ ও পূর্নবাসন কর্মকর্তা মো: জাহাঙ্গির বলেন,” ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার গুলোর জন্য ছয় হাজার প্যাকেট শুকনো খাবার পৌঁছানো হয়েছে টেকনাফে। তারমধ্যে তিন হাজার প্যাকেট সেন্টমার্টিনে বিতরণ করা হয়েছে। পরবর্তী সময়ে তালিকা অনুযায়ী পূর্নবাসন প্রক্রিয়া শুরু করা হবে।”

দুর্যোগ ব্যবস্হাপনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. মিজানুর রহমান বলেন,” ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করে দেখা যায়, অসংখ্য হালকা বাড়ি ঘর ভেংগে পড়েছে। গাছ-পালা, দোকানপাট ও ঘেড়া বেড়া ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘূর্ণিঝড় মোখা সৃষ্টি হওয়ার পর থেকে মনিটরিং করেছেন। এবং যথাযথ ব্যবস্থা নিয়েছিলেন। যার কারণে প্রাণহানি ঘটে নি। যদিও ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। “

তিনি আরও বলেন ” ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার গুলোর পূর্নবাসনে সম্ভব সবকিছু করার জন্য তালিকা তৈরির কাজ চলছে।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন