টেকনাফের ইয়াবা গডফাদার এবার আ’লীগের সভাপতি প্রার্থী!

fec-image

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের তালিকাভূক্ত শীর্ষ ইয়াবা ব্যবসায়ী এখন আওয়ামী লীগের সভাপতি হতে চায়। হাম জালাল নামে এক ব্যক্তি টেকনাফ সদর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি প্রার্থীর বিরুদ্ধে মাদক, হত্যা ও অস্ত্র আইনের অন্তত ৯টি মামলা রয়েছে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের মাদক ব্যবসায়ীর তালিকায় শীর্ষে থাকা টেকনাফ সদর ইউনিয়নের ছোট হাবিবপাড়ার হাজী খলিলুর রহমানের ছেলে হামজালাল (৪৪)। কিছুদিন আগে মিয়ানমার থেকে ইয়াবা পাচারের সময় পুলিশের সাথে বন্দুকযুদ্ধে তার ছোট ভাই ইয়াবা ব্যবসায়ী বাহাদুর নিহত হয়েছে।

এত মামলার আসামি হলেও নব্য আওয়ামী লীগ বনে যাওয়ায় প্রশাসনকে বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়ে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে ইয়াবার এ শীর্ষ গডফাদার। এই শীর্ষ ইয়াবা ব্যবসায়ীকে গত ২৬/০১/২০১৯ ইং ৩ হাজার ইয়াবাসহ টেকনাফ থানা আটক করে কারাগারে প্রেরন করে। পরে ইয়াবার কালো টাকায় কারাগার থেকে বের হয়ে পুনরায় ইয়াবার হাল ধরে।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের তালিকাভুক্ত আসামি হলেও এবার ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি প্রার্থী তিনি। আগামী ১৫ নভেম্বর অনুষ্ঠিতব্য টেকনাফ সদর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সম্মেলনে নিজেকে সভাপতি প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা দিয়েছেন। আর এ নিয়ে চলছে নানা আলোচনা-সমালোচনা।

স্থানীয় সূত্রে জানাযায়, ছোট হাবিবপাড়ার মোহাম্মদ জালাল ওরফে হাম জালাল মেম্বার দীর্ঘদিন ধরে ইয়াবা ব্যবসার সঙ্গে জড়িত। এ পর্যন্ত দেশের বিভিন্ন থানায় ৯টি মামলা হয়েছে। যার মধ্যে রয়েছে, ইয়াবা ও অস্ত্র আইনের মামলা। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সূত্রে পাওয়া এসব মামলার মধ্যে, টেকনাফ থানায় রয়েছে ৮ মামলা ও চট্টগ্রামের লোহাগাড়া থানায় রয়েছে একটি। তার মধ্যে একটি এসিড মামলা। এছাড়াও তার ভাই বাহাদুর মিয়ানমার থেকে ইয়াবা আনতে গিয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়েছে।

টেকনাফের ত্যাগী আওয়ামী লীগ নেতারা দাবি করেছেন, যেখানে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মাদকের বিরুদ্ধে শুদ্ধি অভিযান চলছে সেখানে হামজালালরা কি করে সেই আওয়ামী লীগের সভাপ্রার্থী হয়।

তারা অভিযোগ করেন উপজেলা আওয়ামী লীগের কিছু নেতাকর্মীরা এদের প্রশ্রয় দেয়ার কারণে আজ দলটির এ অবস্থা।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে, হামজালাল জানান, তিনি দীর্ঘদিন ধরে আওয়ামী লীগ করছেন। তার পুরো পরিবার আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে জড়িত। তার বিরুদ্ধে ইয়াবা পাচারের অভিযোগ ও মামলা ষড়যন্ত্রমূলক। দলের নেতাকর্মীদের দাবির মুখে তিনি সভাপতি প্রার্থী হয়েছেন।

এ ব্যাপারে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এড. সিরাজুল মোস্তফা বলেন, ইয়াবা ব্যবসায়ীদের স্থান আওয়ামী লীগে হবে না। হামজালালের বিরুদ্ধে ইয়াবা ব্যবসার সুনির্দিষ্ট অভিযোগ আছে শুনেছি। দলের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সে সভাপতি প্রার্থীই হতে পারবেনা। এ ব্যাপারে কোন ছাড় দেয়া হবে না। তিনি শুধু নিজে নিজে প্রার্থী ঘোষণা দিলে চলবেনা যাচাই বাছাইয়ে বাদ পড়ে যাবে।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন