টেকনাফে অপহৃত পাঁচ রোহিঙ্গা নেতার মধ্যে তিন জনকে উদ্ধার
টেকনাফের ২২ নাম্বার রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে অপহৃত পাঁচ রোহিঙ্গা নেতার মধ্যে তিনজনকে উদ্ধার করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সহযোগিতায় বৃহস্পতিবার বিকেল পাঁচটার দিকে উখিয়ার হাকিম পাড়া ১৪ নাম্বার রোহিঙ্গা ক্যাম্পের হাকিম পাড়ার ব্লক এ-৪ থেকে তাদের উদ্ধার করে আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন (এপিবিএন)। এখনো বাকি দু’জন এর খোঁজ পাওয়া যায়নি। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ১৬ আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের পুলিশ সুপার তারিকুল ইসলাম তারিক।
উদ্ধার হওয়া তিন রোহিঙ্গা নেতা হলেন, ক্যাম্প ২২ এর ডি-ব্লকের হেড মাঝি সাব্বির (৪২), এ-ব্লকের হেড মাঝি মো. ইউসুফ (৩২) ও বি-ব্লকের হেড মাঝি আবু মুছা (২৯)।
১৬ আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের পুলিশ সুপার তারিকুল ইসলাম জানান, উদ্ধার করা তিন মাঝিকে উখিয়ার পালংখালী ক্যাম্পে নিয়ে আসা হয়েছে। বাকি দুইজন কোথায় আছে এখনো জানা যায়নি।
তিনি জানান, আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত বিশেষ সভায় যোগদানের জন্য ৫জন হেড মাঝি ক্যাম্প ২২ থেকে ক্যাম্প ২১ এ আসে। দুপুর ২টার দিকে সভা শেষ হলে সিএনজি অটোরিকশা যোগে ফেরার পথে নিখোঁজ হয়।
এখনও নিখোঁজ দুই রোহিঙ্গা নেতা হলেন, টেকনাফের ঊনছিপ্রাংয়ের রইক্ষ্যং পুটিবনিয়া ক্যাম্পের নাসের হোসেনের পুত্র ও হেড মাঝি রফিক ও নুরুল হাকিমের পুত্র সি-ব্লকের হেড মাঝি আমানুল্লাহ।
ভুক্তভোগী রোহিঙ্গা পরিবারের সদস্যরা জানায়, গত ১০ ফেব্রুয়ারি সকাল ১১টায় টেকনাফের ২১ নম্বর চাকমারকূল ক্যাম্পে বিশেষ সভায় যোগদান করার উদ্দেশে রওনা হন ৫ রোহিঙ্গা মাঝি (নেতা)। দুপুর ২টার দিকে সভা শেষ হলেও তারা বৃহস্পতিবার দুপুর পর্যন্ত ২২ নম্বর ক্যাম্পে তাদের ঘরে ফেরেনি। তাদের ব্যবহৃত মোবাইল ফোনও বন্ধ ছিল।
এদিকে ২২ নম্বর ক্যাম্পের রোহিঙ্গাদের দাবি, এই ক্যাম্পটি রোহিঙ্গা উগ্রপন্থী বিরোধী ক্যাম্প। এসব হেড মাঝিদের নেতৃত্বে ২২ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্প হতে রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীদের উচ্ছেদ করা হয়, ফলে তারা ক্ষিপ্ত ছিল এই রোহিঙ্গা মাঝিদের ওপর।