কুতুবদিয়ায় ভ্যাকসিনে একই বাড়িতে ১২ কুকুরের মৃত্যু

fec-image

কুতুবদিয়ায় জলাতঙ্ক প্রতিরোধে কুকুরকে ভ্যাকসিন দেয়ার পর একই বাড়িতে ১২ কুকুরের মৃত্যু ঘটেছে। গত মঙ্গলবার ও বুধবার লেমশীখালীতে কুকুরগুলো মারা গেছে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রোগ নিয়ন্ত্রণ বিভাগের একটি প্রকল্পের অধিনে উপজেলায় গত ৩১ জানুয়ারি থেকে ৪ ফেব্রুয়ারি ৫দিন পালিত ও বেওয়ারিশ কুকুরকে এন্টি জলাতঙ্ক র‌্যাবিস ভ্যাকসিন প্রদান কার্যক্রম চলে। ৫ দিনে অন্তত ১৯০৩টি কুকুরকে ভ্যাকসিন দেয়া হয় বলে উপজেলা প্রানীসম্পদ কার্যালয় সূত্র জানায়।

ঢাকা থেকে দক্ষ কর্মী এসে কার্যক্রম পরিচালনা করেছে বলে জানা যায়। ৬ ইউনিয়নে প্রায় কয়েক হাজার পালিত ও বেওয়ারিশ কুকুর থাকলেও মাত্র ৪ ইউনিয়নে দায়সারা কার্যক্রম করে তারা চলে গেছেন বলে সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র জানায়।

লেমশীখালী জাহালী পাড়ার আব্দুল মোনাফ ও আব্দু শুক্কুর জানান, তাদের যৌথ পরিবারে বাচ্চা কুকুর সহ ১৪টি পালিত কুকুর ছিল। এর মধ্যে ১২টি ৪ মাস বয়সী বাচ্চা কুকুর ছিল। সবগুলোকে ভ্যাকসিন দেন কর্মীরা। গত মঙ্গলবার ও বুধবারে ১২টি কুকুর ছানাই মারা গেছে।

উত্তর ধুরুং বাকঁখালী গ্রামের আব্দু রহমান বলেন, দক্ষিণ বাকঁখালী গ্রামে ভ্যাকসিন দেয়া চিহ্নিত একটি কুকুর মারা গেছে। একইভাবে কালারমার পাড়ায় ভ্যাকসিন দেয়ার পর ২টি কুকুর মারা গেছে। বিভিন্ন স্থানে আরো বেশ কিছু কুকুর মারা যাবার খবরও পাওয়া যাচ্ছে।

উপসহকারী প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা মোর্শেদ আলম বাহাদুর জানান, কৈয়ারবিল ঘিলাছড়ির বাসিন্দা একজন মহিলা তার পোষা কুকুর ভ্যাকসিন দেয়ার পর অসুস্থ হয়ে পড়লে অন্তত ৩ দিন পশু হাসপাতালে নিয়ে আসেন। তবে এ কার্যক্রমে যারা ঢাকা থেকে এসেছিলেন তাদের কিছুটা গাফেলতির দরুণ এ সমস্যা হয়েছে বলে তিনি মন্তব্য করেন।

তবে এলাকার সচেতন মহল মনে করেন বেওয়ারিশ কুকুর নিধন না করে জলাতঙ্ক প্রতিরোধে কুকুরকে ভ্যাকসিন দেয়ায় যদি মারা যায় তাহলে কুকুর নিধন প্রক্রিয়াই উত্তম ছিল বৈকি। এতে অন্তত পালিত পোষা কুকুর মারা যেতনা।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন