টেকনাফে তাবলীগ ফেরত ব্যক্তির কোভিড ১৯ পজিটিভ: আক্রান্ত ২

fec-image

আপডেট:
টেকনাফে আবারও মোহাম্মদ ইদ্রিস (৪২) নামের তাবলীগ ফেরত এক ব্যক্তির কোভিড ১৯ পজিটিভ শনাক্ত হয়েছে।  তিনি হোয়াইক্যং ইউনিয়নের খারাইংগ্যাঘোনা এলাকার মৃত আলী হোসেনের ছেলে।

বৃহস্পতিবার (২৩ এপ্রিল) কক্সবাজার মেডিকেল কলেজের ল্যাবে স্যাম্পল টেস্টে করোনা ভাইরাস জীবাণু ধরা পড়ে ওই ব্যক্তির। তাকে টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আইসোলেসন ইউনিটে চিকিৎসা সেবা দেওয়ার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

টেকনাফ উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আবুল মনছুরের নেতৃত্বে একটি টিম করোনা রোগী মোহাম্মদ ইদ্রিসের বাড়িতে গিয়ে এম্বুলেন্স যোগে তাকে নিয়ে আসা হয়।

টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ও উপজেলা করোনা ভাইরাস সংক্রামণ প্রতিরোধ কমিটির সদস্য সচিব ডা. টিটু চন্দ্র শীল বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

এই করোনা রোগী তাবলীগে গিয়ে ১২০ দিন ধরে দেশের বিভিন্ন স্থানে কাজ করে মাত্র গেলো বৃহস্পতিবারে (১৬ এপ্রিল) লকডাউন অবস্থায় এলাকায় একাধিক পরিবহনের মাধ্যমে টেকনাফে ফিরে আসেন বলে জানান আক্রান্ত ইদ্রিস। তবে তার একটি লক্ষণও নেই। ইদ্রিস জানান, ঢাকা থেকে পন্যবাহী গাড়ীর মাধ্যমে চট্টগ্রাম পর্যন্ত আসেন। সেখান থেকে ছোট ছোট পরিবহনের মাধ্যমে তার এলাকায় ফেরেন। সর্বশেষ টমটমে বাড়ি পৌছেন। তিনি এসে বাড়িতেই ছিলেন। বাড়ির ৮ সদস্যদের মধ্যে ৭ জনের সাথে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে মিশেছেন।

এর আগে মোহাম্মদ হোছাইন নামক টেকনাফ উপজেলার বাহারছড়া মারিশবনিয়া এলাকার অপর একজন করোনা রোগী গত ১৯ এপ্রিল থেকে টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আইসোলেসনে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

জানা গেছে ওই ব্যক্তির করোনা পজিটিভ রিপোর্ট এলেও বাকিদের রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছে। এর আগে ঢাকা কারওয়ান বাজার ফেরত এক ব্যক্তির কোভিড-১৯ করোনা পজেটিভ পাওয়া যায়। টেকনাফে দুইজনই কোভিড-১৯ করোনা রোগী শনাক্ত হলো। আজ নতুন করে ১৪ জনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। নমুনা সংগ্রহের ১৪ জনই হোম কোয়ারেন্টিনে রয়েছে। এ পর্যন্ত ৬২১ জন হোম কোয়ারেন্টিনে রয়েছে। হোম কোয়ারেন্টিনের ১৪ দিন মেয়াদ পূর্ণ হওয়ায় ছাড়পত্র পেয়েছেন ১৩৭ জন। বর্তমানে হোম কোয়ারেন্টিনে রয়েছে ৪৮৪ জন।

এ প্রসঙ্গে টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. টিটু চন্দ্র শীল এসব তথ্য নিশ্চিত করে জানান, গত ২৪ ঘন্টায় কোভিড-১৯ করোনা শনাক্ত মোঃ ইদ্রিস তাবলীগ থেকে ফেরত আসার পরে সন্দেহজনক হওয়ায় তার নমুনা সংগ্রহ করা হয়। নমুনা পরীক্ষায় তার রিপোর্ট পজেটিভ আসে। এ খবর আসার পর  উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাসহ উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। আক্রান্ত ব্যক্তির বাড়ি, আশপাশের বাড়ি ও এলাকা লকডাউনের প্রস্তুতি চলছে। একই সাথে আক্রান্ত ব্যক্তিকে আইসোলেশন ওয়ার্ডে নেয়ার ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।

হোয়াইক্যং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নুর আহমদ আনোয়ারী বলেন, আক্রান্ত ব্যক্তি তাবলীগ ফেরত। তিন চিল্লাহ বা জামায়াতের জন্য বের হয়েছিল। তার এ কোভিড ১৯ হওয়াতে পুরো এলাকা ঝুঁকিতে রয়েছে। এ ব্যাপারে প্রশাসনের কঠোর নজরদারী দাবি করেন তিনি।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন